একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর পর বেশিরভাগ মানুষ আরামকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু কিছু মানুষ, তাদের বয়স সত্ত্বেও, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান। মহারাজগঞ্জ জেলার এমনই একজন বয়স্ক ব্যক্তি, ষাটের কোঠায় থাকা সত্ত্বেও, নিজের শিল্পকর্ম দিয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করে চলেছেন।
advertisement
হামিদুল্লাহর বয়স ষাটের কোঠায় হতে পারে, কিন্তু যখন তিনি কাগজ কেটে বিভিন্ন নকশা তৈরি করেন, তখন মানুষ অবাক হয়ে যায় যে কেউ কীভাবে সাধারণ কাগজ এত নিখুঁতভাবে কেটে এত ভাল সুন্দর নকশা তৈরি করতে পারেন। জেলার নিছলৌল এলাকার পরাগপুরের বাসিন্দা হামিদুল্লাহ উৎসবের সময় কাগজে কেটে নকশা তৈরি করেন, যা সাজসজ্জার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই কাজটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে করা হয়
কাগজ শিল্পী হামিদুল্লাহ লোকাল 18-কে বলেন যে, তিনি বিগত দশ বছর ধরে কাগজ কেটে নকশা বের করে আসছেন। কাগজ কেটে নকশা বের করার জন্য অত্যন্ত নির্ভুলতা এবং যত্ন প্রয়োজন। এমনকি একটি ছোট ভুলও পুরো কাগজ নষ্ট করে দিতে পারে এবং ক্ষতি করতে পারে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, প্রথমে একটি নকশা কলম বা পেন্সিল দিয়ে কাগজে আঁকা হয় এবং তারপর পাতলা কাঁচি ব্যবহার করে সাবধানে কাটা হয়। এই ধরনের কাগজ শিল্পের জন্য একটি বিশেষ ধরনের কাঁচি পাওয়া যায়, যা খুব সূক্ষ্ম, কাটা সহজ করে তোলে এবং সূক্ষ্ম কাট তৈরি করে।
বাবার কাছ থেকে কাগজের শিল্প শিখেছেন
হামিদুল্লাহ ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, মহররমের সময় যখন বড় বড় তাজিয়া তৈরি করা হয়, যদি অনেক কারিগরও সেগুলির সাজসজ্জাতে কাজ করেন, তাহলেও কাগজে সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করতে ছয় মাস সময় লাগে। যদি তিনি নিজেই সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করেন, তাহলে প্রায় এক বছর সময় লাগে, যার পরে নকশাটি সম্পূর্ণ হয়। কাগজে ফুল এবং অন্যান্য নকশার জটিল কাটিং সত্যিই একটি অসাধারণ ডিজাইন তৈরি করে। তাঁর বাবাও একই ধরনের নকশা তৈরি করতেন এবং তিনি বাবার কাছ থেকেই এই শিল্পটি শিখেছেন। বছরের পর বছর বছর ধরে এই শিল্প অনুশীলন করছেন হামিদুল্লাহ, যা চোখ এবং মন দুইকেই প্রশান্তি দেয়।
