Jemimah Rodrigues: অ্যাংজাইটির সঙ্গে টানা লড়াই...কান্নায় ভেজা গাল, কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা! সবার সামনে জেমাইমা জানালেন নিজের সঙ্গে নিজের সেই যুদ্ধের কথা
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
জেমাইমা বলেন, ‘‘বিষয়টা শুরু হয়েছিল অ্যাংজাইটির সমস্যা থেকে৷ তারপর দল থেকে বাদ পড়লাম৷ ওটা বড় ধাক্কা ছিল৷ আর যখন বাদ পড়লাম, তখনই নিজের উপরে একরাশ অবিশ্বাস এসে জড়ো হল৷ আমি সব সময় ভেবেছিলাম যে দলের জন্য কিছু করব, কিন্তু, শুধু বসে থাকা ছাড়া তখন আমার আর কিছু করণীয় ছিল না৷ তারপর যখন দলে ফিরলাম, তখন আরেক রকম চাপ৷ গত একমাস ধরে৷’’
advertisement
advertisement
 মহিলা বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’-এর পুরস্কার হাতে নিয়ে গত এক মাসের সেই অভাবনীয় জার্নির কথা শোনালেন জেমাইমা রডরিগেজ৷ কান্নায় ভেজা গাল, কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা৷ ঈশ্বরের প্রতি, পরিবারের প্রতি, সহযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা৷ আর অস্বাভাবিক সহজতার সঙ্গে এক স্টেডিয়াম মানুষের সামনে বললেন তাঁর নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইয়ের কথা৷
advertisement
advertisement
 ১৩৪ বলে অপরাজিত ১২৭ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস এঁকেছেন যে মেয়ে, তিনিই বলছেন, ‘‘গত বছর বিশ্বকাপ দল থেকে আমি বাদ পড়েছিল৷ এবছর যখন এলাম, ভাবলাম আচ্ছা চেষ্টা করব ভাল ফর্মে আছি৷ তারপর একটার পর একটা জিনিস ঘটতে থাকল, যার কোনওটাই আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না৷ আমি ধন্যবাদ জানাব সেই সমস্ত মানুষকে, যাঁরা সেই সম আমার উপরে আস্থা রেখেছেন৷’’
advertisement
advertisement
 পোস্ট ম্যাচ কনফারেন্সেও এ নিয়ে কথা বলেছেন জেমাইমা, ‘‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমি প্রচণ্ড অ্যাংজাইটির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলান৷ অবস্থা এমন ছিল যে, প্রত্যেকটা ম্যাচের আগে আমি মাকে ফোন করতাম আর কাঁদতাম৷ গোটা সময়টা কাঁদতাম৷ মনে হত সবটা বেরিয়ে যাক৷ কারণ, যখন আপনার অ্যাংজাইটি হয়, তখন আপনি সম্পূর্ণ ‘নাম্ব’ হয়ে যান৷ তখন কী করবেন কিছুই ভেবে পান না৷’’
advertisement
 ঠিক এই সময়েই পরিবার, বন্ধ এবং সঙ্গীরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেমাইমা৷ ‘‘প্রত্যেক বার আমার মা, আমার বাবা আমার পাশে থেকেছে৷ আর অরুন্ধতী (রেড্ডি) যার সামনে আমি প্রতি দিন কাঁদতাম৷ এইগতকাস, ও এসেছে, সামনে দাঁড়িয়েছে৷ কিছু বলেনি৷ ওর থাকাটাই আমার কাছে অনেক ছিল৷ তারপর রাধা (যাদব), সবসময় আমার যত্ন নিয়েছে৷’’
advertisement
 জেমাইমা বলেন, ‘‘বিষয়টা শুরু হয়েছিল অ্যাংজাইটির সমস্যা থেকে৷ তারপর দল থেকে বাদ পড়লাম৷ ওটা বড় ধাক্কা ছিল৷ আর যখন বাদ পড়লাম, তখনই নিজের উপরে একরাশ অবিশ্বাস এসে জড়ো হল৷ আমি সব সময় ভেবেছিলাম যে দলের জন্য কিছু করব, কিন্তু, শুধু বসে থাকা ছাড়া তখন আমার আর কিছু করণীয় ছিল না৷ তারপর যখন দলে ফিরলাম, তখন আরেক রকম চাপ৷ গত একমাস ধরে৷’’
advertisement
 এরপরেই আসে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর কথা৷ জেমাইমা বলেন, ‘‘কিন্তু, এমন কিছু সময় থাকে, যখন শুধু মাত্র ধৈর্য ধরতে হয়, বাকিটা নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়৷’’ বিশ্বাসের সঙ্গে জেমাইমা উচ্চারণ করেন, ‘‘আমি জিশুর কাছে কৃতজ্ঞ৷ তাঁর থাকার জন্য কৃতজ্ঞ৷ কঠিন সময়ে বাইবেল আমায় অনেকটা সাহস দিয়েছে৷ বাইবেলে লেখা রয়েছে, ‘weeping may endure for a night, but joy comes in the morning’, সেই দিন এসেছে৷ আর আমি এখনও কাঁদছি৷’’

