এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ০৪.১১.২০২৫ তারিখ থেকে কাটিহার ডিভিশনের রাঙাপানি স্টেশনটি বহির্গামী এবং অন্তর্মুখী ইন্ডেন্টেড পার্সেল ট্রেন এবং পার্সেল কার্গো এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা হেণ্ডলিঙের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আরও একটি গ্রাহক কেন্দ্রিক পদক্ষেপ হিসেবে, লামডিং ডিভিশনের অধীনে থাকা লাংটিং স্টেশনটি ২১.১১.২০২৫ তারিখ থেকে বাঁশ পরিবহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলির জন্য উন্নত বাজার সুবিধা প্রদানে সহায়ক হবে।
advertisement
বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) পদক্ষেপের অধীনে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নভেম্বর ২০২৫ সালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পণ্য সামগ্রী পরিবহন করেছে। নাগাল্যান্ডের মলভম এবং আসামের পাঁচগ্রাম, বিহাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন স্থান থেকে লামডিং ডিভিশনের অধীনে মোট ২,০৩৫ টি ওয়াগন স্টোন চিপস বুকিং করে ত্রিপুরার জিরাণীয়া, মিজোরামের সাইরাং,অসমের নিউ তিনসুকিয়া ইত্যাদি গন্তব্যে স্থানে পণ্য পরিবহণ করা হয়েছে, যার ফলে এই মাসে প্রায় ৮.১৫ কোটি টাকার মালবাহী রাজস্ব অর্জন হয়েছে।
এছাড়াও, বিডিইউ পদক্ষেপের অধীনে নভেম্বর ২০২৫ মাসে লামডিং ডিভিশনের অধীনে ১,১৩৬ টি ওয়াগন সিমেন্ট বুক করা হয়েছে। তেতেলিয়া, লঙ্কা এবং শালচাপরার মতো গুরুত্বপূর্ণ লোডিং পয়েন্ট থেকে মণিপুরের খোংসাং রেলওয়ে স্টেশন, মিজোরামের সাইরাং এবং পশ্চিমবঙ্গর নিউ জলপাইগুড়ির মতো প্রধান গন্তব্যগুলিতে পণ্য পরিবহন করা হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৪.৭৭ কোটি টাকার মালবাহী রাজস্ব অর্জন হয়েছে। এছাড়াও, বিডিইউ পদক্ষেপের অধীনে লামডিং ডিভিশনের অধীনে ১,০৮৬টি পিওএল (পেট্রোলিয়াম, অইল এবং লুব্রিকেন্ট) পণ্যের ওয়াগন বুক করা হয়েছিল, যা নভেম্বর ২০২৫ মাসে মালবাহী রাজস্বে প্রায় ৪.৪১ কোটি টাকা অবদান রেখেছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ এবং ব্যবসাবান্ধব ব্যবস্থার মাধ্যমে তার পণ্য পরিবহন পরিষেবা এবং গ্রাহক সম্পর্ক উন্নত করার উপর মনোযোগ অব্যাহত রেখেছে। ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধানের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে দক্ষ, নির্ভরযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক পণ্য পরিবহন প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একই সাথে আঞ্চলিক লজিস্টিকস ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, বলে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।
