প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতেই এই সিদ্ধান্ত। বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনায় মোট ১৪০টি জলযান রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন। যার ১১টি বেশ পুরনো। এ ছাড়া রয়েছে, দু’টি এসএসবিএন (পরমাণু শক্তিচালিত এবং পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রযুক্ত) ডুবোজাহাজ। রয়েছে দু’টি বিমানবাহী রণতরীও।
advertisement
বর্তমানে কলকাতার গার্ডেনরিচ, মুম্বইয়ের মাজগাঁওয়ের মতো জাহাজ নির্মাণ কারখানাগুলিতে ৫৫টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণাধীন। খরচ আনুমানিক ৯৯,৫৫০ কোটি। ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই আরও ৭৪ টি যুদ্ধজাহাজ বানানোর অনুমতি পেয়েছে। খরচ আনুমানিক ২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে থাকবে ৯টি ডিজেলিলেকট্রিক সাবমেরিন, ৭টি নেক্টট জেনারেশন মাল্টি-রোল স্টেলথ ফ্রিজেটস, ৮টি অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার এবং ১২টি কাউন্টারমেসার জলযান। এ ছাড়া আটটি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী কর্ভেট এবং ১২টি ‘মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল’ (এগুলি সমুদ্রে শত্রুপক্ষের পাতা মাইন চিহ্নিত এবং নিষ্ক্রিয় করতে দক্ষ) রয়েছে এই তালিকায়।
INS বিক্রান্তের পর এবার ভারতীয় সেনা তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী তেরিতে উদ্যোগী। রাশিয়ার INS বিক্রমাদিত্যর জায়গায় এসেছিল INS বিক্রান্ত। দেশীয় প্রযুক্তিতে বিমানবাহী রণতরী নির্মাণে সক্ষম হলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে এক সারিতে চলে আসবে ভারত। পাশাপাশি,ভারতীয় নৌসেনায় ২৫০টিরও বেশি বিমান এবং হেলিকপ্টারও রয়েছে।