TRENDING:

Mt Everest: অদম্য ইচ্ছাশক্তি! বুকে পেস মেকার নিয়েই এভারেস্ট পাড়ি দিয়েছিলেন এই মহিলা, তারপর..

Last Updated:

নেপালের পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, সুজান মাত্র ২৫০ মিটার উঁচু ক্রম্পটন পয়েন্টেই পৌঁছতে পারছিলেন না৷ যে দূরত্ব পৌঁছতে অন্য পর্বতারোহীদের মাত্র ২০-৩০ মিনিট লাগে, সুজানের তা প্রথম দিন লেগেছিল ৫ ঘণ্টা, দ্বিতীয় দিন ৬ ঘণ্টা, ও তৃতীয় দিন ১২ ঘণ্টা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: পেস মেকার বুকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ স্বপ্ন দেখেছিলেন, বুকে পেস মেকার নিয়ে তিনিই হবেন এশিয়ার সেই প্রথম মহিলা যিনি মাউন্ট এভারেস্টকে জয় করবেন৷ কিন্তু, তাঁর সেই সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল৷ এভারেস্ট বেস ক্যাম্পেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করলেন মহারাষ্ট্রের পর্বতারোহী সুজান লেওপলডিনা জেসাস৷
advertisement

৫৯ বছর বয়সেও অদম্য উৎসাহ নিয়ে সুজান পাড়ি দিয়েছিলেন এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে৷ কিন্তু, এভারেস্ট জয়ের আগে প্রাথমিক অ্যাক্লিমেটাইসেশন প্রসেসেই বারবার থমকে পড়ছিলেন৷ তাঁর বয়স, তাঁর স্বাস্থ্য, তাঁর শরীর, তাঁর ইচ্ছের পথে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল৷

আরও পড়ুন: ডাল লেকে নামল মেরিন! লালচক তোলপাড় করে তল্লাশি, আবার কী হল ভূ-স্বর্গে?

advertisement

সুজানের এভারেস্ট অভিযান যে সংস্থার তরফে আয়োজিত করা হয়েছিল, সেই গ্লেসিয়ার হিমালয়ান ট্রেকের চেয়ারম্যান ডেন্ডি শেরপা বলেন, ‘‘আমরা ৫ দিন আগেই ওঁকে অভিযান ছেড়ে নেমে আসার পরামর্শ দিয়েছিলাম৷ কিন্তু উনি বদ্ধ পরিকর ছিলেন যে এভারেস্টে উঠবেনই৷ কারও কথা শুনছিলেন না। শেষে ওঁকে জোর করে লুকলাতে নামিয়ে আনা হয়৷’’

advertisement

এভারেস্ট অভিযানের আগে, শরীরকে ওই উচ্চতায় ধাতস্থ করার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়৷ তাকে অ্যাকলিমেটাইজেশন বলে৷ এক্ষেত্রে, পর্বতারোহীরা, বেস ক্যাম্প থেকে কিছুদূর উঁচুতে উঠে সেখানে এক বা দুদিন কাটান, তারপর আবার নেমে আসেন৷ এমন ২-৩ বার করতে হয় মূল অভিযান শুরুর আগে৷

নেপালের পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, সুজান মাত্র ২৫০ মিটার উঁচু ক্রম্পটন পয়েন্টেই পৌঁছতে পারছিলেন না৷ যে দূরত্ব পৌঁছতে অন্য পর্বতারোহীদের মাত্র ২০-৩০ মিনিট লাগে, সুজানের তা প্রথম দিন লেগেছিল ৫ ঘণ্টা, দ্বিতীয় দিন ৬ ঘণ্টা, ও তৃতীয় দিন ১২ ঘণ্টা৷

advertisement

আরও পড়ুন: কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সরাসরি ফোন মুখ্যমন্ত্রীর! বাঁকুড়ার অন্বেষার সঙ্গেও কথা, কী বললেন তাঁকে?

এরপরেই তাঁকে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, সুজান নাকি জানিয়েছিলেন, এভারেস্টে ওঠার পারমিশন পেতে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হয়েছে৷ তাই এভারেস্ট জয় না করে তিনি ফিরতে পারবেন না৷

কিন্তু, পাহাড় কারও জেদ মানে না৷ পাহাড়ে কাছে সবসময় মাথা নিচু করে দাঁড়াতে হয়৷ বুঝতে হয় তার নির্দেশ, ইঙ্গিত৷ নাহলেই অবধারিত বিপদ৷ এমনকী, মৃত্যুও৷ এক্ষেত্রে, যেমনটা হয়েছে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

শরীরের কথা শুনলে, না জেদ করলে হয়ত এমন অকালে প্রাণ হারাতে হত না সুজানকে৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Mt Everest: অদম্য ইচ্ছাশক্তি! বুকে পেস মেকার নিয়েই এভারেস্ট পাড়ি দিয়েছিলেন এই মহিলা, তারপর..
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল