পুনের কোথরুডস মহাত্মা সোসাইটিতে একটি জঙ্গলি বাইসন ঢুকে পড়ে। বাইসনটি আমাদের দেশে ও সাউথ আফ্রিকাতে গৌর নামেও ডাকা হয়। দুপুরবেলা একদল কুকুরের তাড়া খেয়ে সে এই সোসাইটি এড়িয়াতে চলে আসে। স্বাভাবিক ভাবেই জঙ্গলের বাইসনকে লোকালয়ে ঘুরতে দেখে আতঙ্ক তৈরি হয়। তখনই ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে ট্র্যাঙ্কুলাইজার দিয়ে বাইসনটিকে অচৈতন্য করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই গোটা বিষয়টি করতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে।
advertisement
এবং এই সময় লোকালয়ে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে যান। এক সঙ্গে এত মানুষ দেখে পালাতে চেষ্টা করে বাইসনটি। এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। এর পর সে হঠাৎই ক্লান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তাঁকে ফরেস্ট অফিসাররা জঙ্গলে ছাড়ার জন্য নিয়ে যান। পথেই মারা যায় গৌর বাইসন। এরপর মহারাষ্ট্র ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট জানায়, "এই বাইসনটি জঙ্গল থেকে এত দূরে এল কিভাবে? তবে কি পোচিং করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে তো ওকে মেরে ফেলা হবে।" ডাক্তাররা জানিয়েছেন গৌর বাইসনের দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সারাদিন ধরে এই লড়াইতে সে ক্লান্ত হয়েই মারা যায়। তার স্ট্রেসের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এবং তার মৃত্যু হয়। এত মানুষ দেখেও তার আতঙ্ক হয়।" এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছায়া নেমেছে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে। চেষ্টা করেও প্রাণে বাঁচানো গেল না গৌরকে।