হিমালয়ে বিরলতম জীবজন্তুর সংখ্যা কম নয়৷ তেমনই কোনও প্রাণীর পায়ের ছাপ হতে পারে৷ ইয়েতির ছাপের কোনও নমুনা নেই৷ এখনই তাই ইয়েতির অস্তিত্ব আছে বলে ভাবার কারণ নেই৷ টুইটে সেনার দাবি, ৯ ই এপ্রিল ছবিটি হাতে আসার পর বিভিন্ন পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন তাঁরা। কী পরীক্ষা হয়েছে, কোন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই ইয়েতির অস্তিত্ব নিয়ে নিশ্চিত হল সেনা? উত্তর নেই। পাহাড়ের টানে যেমন বারবার জীবন বিপন্ন করে অভিযান চালিয়েছেন অভিযাত্রীরা? তেমনি ইয়েতির খোঁজেও অভিযান চলেছে। এরিক শিপটন, অ্যালান স্কটের মতো আরও অনেক অভিযাত্রী শুধু ইয়েতির সঙ্গে মোলাকাতের আশা নিয়েই ছুটে গিয়েছেন। হিমালয়ের দূর্গম সব এলাকায় ক্যামেরা পঁুতেছেন। পড়ে থেকেছেন। কিন্তু তুষারমানবের দেখা পাননি।
advertisement
হতাশ হয়েই একসময় ইয়েতি অভিযান বন্ধ হয়েছে। এনিয়ে আজও হতাশা যায়নি অভিযাত্রীদের। ১৯৯০ সালে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায় লেখা হয়,বাস্তবে যার প্রমাণ নেই, বিজ্ঞান তা মানবে কীভাবে? ইয়েতি নিয়ে হইচই এবার বন্ধ হওয়া উচিত। জীবনের বেশিরভাগটাই ইয়েতির খোঁজে হিমালয় চষে বেড়িয়েছেন যিনি, সেই রেনহোল্ড মেসনার দাবি করেন, উত্তর তিব্বতে একধরণের ভালুকই আসলে ইয়েতি। মাই কোয়েস্ট অফ ইয়েতি বইতে তিনি লেখেন৷ তিব্বতে এক ধরণের ভালুককে ইয়েতি বলা হয়৷ তিব্বতীতে চেমো বলে ডাকা হয় এদের৷ বৌদ্ধ মঠগুলিতে চেমোর দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ সাধারণ ভালুকের তুলনায় এরা অনেকটাই বড়৷ তবে মেসনারের দাবি নিয়েও মতভেদ আছে। তাই ইয়েতির কথা জানিয়ে তড়িঘড়ি টুইট করার বদলে আরও ভাবনাচিন্তা করে এগোলেই ভালো হত। ভবিষ্যতে সেনাকে তা মাথায় রাখারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।