রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ফলে ভারতে আসতে শুরু করে দিয়েছে এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। মনে করা হচ্ছে এই সিস্টেম ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী চিন এবং পাকিস্তানের যৌথ মোকাবিলা করতে পারবে। জাতীয় রাজধানী সুরক্ষার জন্য দিল্লির কাছে ইনস্টল করা (S-400 missile defence system) সিস্টেমটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে অমৃতসরের কাছে একটি আগত ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করতে পারে। এর দূর-পাল্লার রাডার ক্ষেপণাস্ত্র যতদূর উড়তে পারে, তার চেয়ে বেশি দূরে দেখতে পারে - প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।
advertisement
তার মানে একটি S-400 লং রেঞ্জ (LR) রাডার অমৃতসরের বাইরে, লাহোর এবং ইসলামাবাদের (২৭০) কিলোমিটার) মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি দূরত্ব দেখতে সক্ষম হবে। S-400 যথাক্রমে ৪০০ কিমি, ২৫০ কিমি, ১২০ কিমি এবং ৪০ কিমি রেঞ্জ সহ চারটি ভিন্ন ধরণের মিসাইল দিয়ে সজ্জিত হতে পারে। এলআর রাডার ১০০ টিরও বেশি উড়ন্ত বস্তুকে একই সঙ্গে ট্র্যাক করতে পারে যখন এক ডজন লক্ষ্যকে নিযুক্ত করতে সক্ষম হয় — অধিগ্রহণ রাডারে দেখা যায় এবং তারপর কমান্ড পোস্ট (command post) থেকে লঞ্চ প্ল্যাটফর্মে (launch platform) রিলে করা হয়।
সোজা ভাষায় বলতে গেলে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইটার এয়ারক্রাফট পাঠানোর আগে দশবার চিন্তা করতে হবে পাকিস্তান এবং চিনকে। এস ৪০০ (S-400) হাতে থাকায় পাকিস্তান থেকে বা চিনের কোনও প্রদেশ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান বা মিসাইল আকাশে উঠলেই ট্র্যাক করা সম্ভব। আর রাশিয়ান মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম যদি একবার রেডার লক অন করে ফেলে, শত্রুর বিমান বা মিসাইল ধুলিস্যাৎ হয়ে যেতে কয়েক সেকেন্ড লাগবে।
এছাড়াও ফ্রান্সের থেকে কেনা ৩৬ রাফাল যুদ্ধবিমানের মধ্যে ৩০ টি ইতিমধ্যেই ভারতের হাতে চলে এসেছে। আরো ছয়টি এপ্রিল মাসের মধ্যে আসার কথা। শোনা যাচ্ছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানেও তিনটি নতুন সংযোজন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
লাদাখের ঠান্ডা থেকে শুরু করে রাজস্থানের প্রচণ্ড গরমে যাতে অপারেট করতে অসুবিধে না হয়, তার জন্য হাই ক্যাপাসিটি মিসাইল, লো ব্যান্ড জ্যমার এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম যোগ করা হচ্ছে। এর ফলে শত্রুপক্ষের মিসাইলের আঘাত সহজেই এড়াতে পারবে রাফাল। পাকিস্তানের এফ ১৬ এবং চিনের আধুনিক জে ২০- র থেকেও আধুনিক হয়ে যাবে ভারতের
রাফাল।