রবিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানায়—
“২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সরকারি বিবৃতি আমরা দেখেছি। আমরা এই বিবৃতিকে যে অবমাননা প্রাপ্য, ঠিক সেই ভাবেই প্রত্যাখ্যান করছি।”
এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। আহত হন দুই ডজনের বেশি, যার মধ্যে সেনা ও সাধারণ নাগরিক উভয়ই রয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপের আত্মঘাতী শাখা, যারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)-এর একটি অংশ।
advertisement
বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে এবার বিশাল কড়াকড়ি! কোন অনুমোদন ছাড়া মিলবে না শংসাপত্র?
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ঘটনাকে “কাপুরুষোচিত হামলা” বলে নিন্দা করেছেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করার কোনও চেষ্টা হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কোনও প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছে, এই হামলা ভারতের মদতপুষ্ট কোনও গোষ্ঠী চালিয়েছে।
হামলার অভিঘাতে দুটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে, যেখানে ৬ জন শিশু আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখওয়ার এক পুলিশ আধিকারিক।
আফগানিস্তানের সীমান্তঘেঁষা এই প্রদেশটি দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত এবং সম্প্রতি সেখানে জঙ্গি হানার সংখ্যা বেড়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি TTP ঘোষণা করে তাদের ‘স্প্রিং ক্যাম্পেইন’ শুরু হচ্ছে, যার অংশ হিসাবে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা, অ্যামবুশ ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণের হুমকি দেয়। মার্চের পর থেকে প্রায় ১০০টিরও বেশি হামলার দায় নিয়েছে TTP।
AFP-র হিসাব অনুযায়ী, এই বছর শুরুর পর থেকে খাইবার পাখতুনখওয়া ও বালোচিস্তানে জঙ্গি হামলায় প্রায় ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তারক্ষী।
ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার জঙ্গিদের নির্মূল করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যারা আফগান মাটিতে আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা করছে। পাল্টা জবাবে তালিবান সরকার পাকিস্তানকে দোষারোপ করে বলেছে, তাদের মাটিতেই রয়েছে “জঙ্গি ঘাঁটি”।