মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “চিনের যে মানচিত্রে ভারতের ভূ খণ্ডকে তাদের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করেছি কূটনৈতিক স্তরে। এর কোনও ভিত্তি নেই। সেই কারণেই আমরা এই দাবি খণ্ডন করছি। চিনের এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র সীমান্ত প্রস্তাবনা আরও জটিল করে তুলবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে চিন। তাদের তরফে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। আকসাই চিন এলাকাকেও তাদের অংশ বলে দাবি করেছে বেজিং। তাইওয়ান দ্বীপ তাদের নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করেছে চিন।
advertisement
এই খবর সামনে আসতেই মোদি সরকারের চিন এবং বিদেশ নীতির সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, ‘আজ ভারত ও চিনের মধ্যে একটাই ইস্যু। সেটা হল, চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একাধিক জায়গায় আগ্রাসন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের প্রায় ২,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে চিন। এই অংশটি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে মুক্ত করতে হবে। এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে আত্মসমীক্ষা করা উচিত।’
শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন , ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি তো সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাহলে এই মানচিত্র প্রকাশ হল কী করে? এই প্রশ্নের জবাব তাঁকে দিতে হবে। রাহুল গান্ধি যেটা বলেছেন সেটাই সত্য যে, লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যদি সাহস থাকে, তাহলে চিনের উপরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক।’ গত জানুয়ারিতে এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক তাঁর দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেন, পূর্ব লাদাখের চিন সীমান্তে ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টির দখলদারি হারিয়েছে ভারত৷