সাইবার, স্পেস অ্যান্ড ফিউচার কনফ্লিক্ট (Cyber, Space and Future Conflict) নামে এই যে সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়েছে IISS-এর তরফে, তার প্রধান এবং সমীক্ষাপত্রের অন্যতম লেখক গ্রেগ অস্টিন (Greg Austin) এই পিছিয়ে পড়ার কারণটি যতদূর সম্ভব বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি- ভারতের সাইবার ইন্টেলিজেন্স বেশ ঠিকঠাক, অফেন্সিভ সাইবার ক্যাপাবিলিটিও প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু তা নির্দিষ্ট কয়েক অঞ্চলেই কেবল নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করছে, সার্বিক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন যে ভারত তার সাইবার পাওয়ার দিয়ে কেবল পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টাতেই রত, অন্য দেশ, বিশেষ করে চিনের দিকে তাদের নজর ততটাও নেই, যতটা থাকা উচিত ছিল!
advertisement
এই সমীক্ষা আরও দাবি করেছে যে সাইবার গভর্ন্যান্সের নিরিখে ভারতের অগ্রগতি খুবই ধীর গতিসম্পন্ন; ২০১৮-২০১৯ সালের আগে সিভিল এবং মিলিটারি সাইবার সিকিউরিটির কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। আবার ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটির প্রসঙ্গে সমীক্ষা বলতে দ্বিধা করেনি যে প্রাইভেট সেক্টর সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক গুণ বেশি এগিয়ে রয়েছে। এই সব কারণে সাইবার পাওয়ার হিসাবে সারা বিশ্বের নিরিখে ভারতকে তৃতীয় সারির অন্তর্ভুক্ত করেছে সমীক্ষাটি!
প্রসঙ্গত, এই সমীক্ষা পরিচালনার সময়ে একেকটি দেশের সাইবার ক্ষমতা নির্ধারণে আটটি বিষয় বিবেচনা করেছিল IISS। এগুলি হল- স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ডকট্রিন, গভর্ন্যান্স, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল, কোর সাইবার ইন্টেলিজেন্স ক্যাপাসিটি, সাইবার এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ডিপেনডেন্স, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড রেজিল্যান্স, গ্লোবাল লিডারশিপ ইন সাইবারস্পেস অ্যাফেয়ার্স এবং অফেন্সিভ সাইবার ক্যাপাবিলিটি। দেখা গিয়েছে যে এই সবক'টি শর্ত পূরণ করে সাইবার পাওয়ার হিসাবে বিশ্বে প্রথম সারিতে জায়গা করতে পেরেছে একমাত্র ইউনাইটেড স্টেটস। দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, ইজরায়েল, রাশিয়া এবং ইউনাইটেড কিংডম। আর তৃতীয় সারিতে ভারতের সঙ্গে স্থান পেয়েছে জাপান, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া।