সূত্রের খবর, অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে বিরোধী শিবিরের সব দলই ঐক্যমতে পৌঁছে গিয়েছে৷ তবে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে সবথেকে বেশি তৎপর হয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস৷ নিজেদের মধ্যে এবং অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলেছে তারা৷
আরও পড়ুন: মোদিকে ধন্যবাদ মমতার, জবাব দিলেন রাহুলও! প্রধানমন্ত্রীর ইন্ডিয়া মন্তব্যে জোর বিতর্ক
advertisement
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনও ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির সংসদীয় কৌশল তৈরি৷ সেই কৌশল কীভাবে কার্যকর করা হবে, তার প্রক্রিয়া প্রতিদিন বদলে যেতে পারে৷ লোকসভার ১৯৮ নম্বর রুল অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ রয়েছে৷ পিকচার অভি বাকি হ্যায়!’
বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর গত চার দিন ধরে অচল হয়ে রয়েছে সংসদের দুই কক্ষ৷ মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিবৃতি দিতে হবে, এই দাবিতে রাজ্যসভা এবং লোকসভা অচল করে রেখেছেন বিরোধীরা৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য সংসদে দাবি করেছেন, সরকার মণিপুর ইস্যুতে আলোচনায় প্রস্তুত৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির বিষয়ে কোনও আশ্বাস দেননি তিনি৷ ফলে বিরোধীরাও নিজেদের অবস্থান বদলায়নি৷
বিরোধী শিবিরের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, যেহেতু কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রী মণিপুুর ইস্যুতে বিবৃতি দিচ্ছেন না, তাই সরকারকে চাপে ফেলে বাধ্য করাতেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
যদিও এই অনাস্থা প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সরকার৷ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, আমাদের সরকারের প্রথম পাঁচ বছরেও বিরোধী পক্ষ এরকম অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল৷ তার পর ২০১৯-এ আমাদের আসন সংখ্যা ২৮২ থেকে বেড়ে ৩০৩ হয়৷ এবারেও বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনুক৷ লোকসভা নির্বাচনে আমরা ৩৫০-র বেশি আসনে জয়ী হব৷
