এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রতনলাল নাথের কাছ থেকে শিক্ষা দফতর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত আট তারিখ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বার শপথ গ্রহণ করেছেন মানিক সাহা৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে আগরতলায় শপথ গ্রহণ করেন মানিক সাহা৷ তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন আরও আটজন মন্ত্রী৷ মোদি, শাহ, নাড্ডা ছাড়াও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডা, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পি এস তামাং৷ এ ছাড়াও শপথ গ্রহণ মঞ্চে দেখা যায় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও৷
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জল গড়াল টলিউডেও! অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে তলব ED-র
আরও পড়ুন: কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বনি সেনগুপ্ত, কিন্তু কেন, জানালেন বাবা
এক বছর আগে বিপ্লব দেবকে সরিয়েই মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে যাঁকে মানিক সাহার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই প্রতিমা ভৌমিক এ দিন শপথ নেননি৷ যে আট জন মন্ত্রী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন আগের মন্ত্রিসভারই সদস্য৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রতন লাল নাথ, প্রাণজিৎ সিংহ রায়, শান্তনা চাকমা এবং সুশান্ত চৌধুরী৷ এ ছাড়া চার জন নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন৷ বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ টিঙ্কু রায়, বিজেপি-র রাজ্য আদিবাসী মোর্চার প্রধান বিকাশ দেব বর্মা এবং সুধাংশু দাস৷ বিজেপি-র জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র একজন বিধায়ক শুক্লাচরণ নোয়াটিয়া মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, এখনও তিপ্রামোথার জন্য মন্ত্রিসভার তিনটি আসন ছেড়ে রাখা হচ্ছে৷ ভোটের আগে তিপ্রামোথার সঙ্গে জোট না হলেও ভোটের পরে ফের একবার তিপ্রামোথার কাছে সমঝোতার প্রস্তাব গিয়েছে বিজেপি-র পক্ষ থেকে৷ তিপ্রামোথা পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড় থাকায় ভোটের আগে তাদের সঙ্গে বিজেপি-র জোট সম্ভাবনা ভেস্তে গিয়েছিল৷