সম্প্রতি হরদোইয়ের একটি মাজারের কাছ থেকে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ মৃত মহিলার নাম প্রীতি রাম সেবক৷ মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁর স্বামী রামসেবককে গ্রেফতার করেছে৷ জেরায় স্বামী পুলিশকে যা জানিয়েছে, তা শুনে তাজ্জব পুলিশকর্তারাও৷
স্থানীয় পুলিশ সুুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, আট বছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়৷ তাদের একটি চার বছরের সন্তানও রয়েছে৷ যদিও সেই ছেলেকে নিজের বলে মানত না রামসেবক৷ কারণ রামসেবকের ধারণা ছিল সে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে অক্ষম৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'নির্দোষ ডাক্তারদের হেনস্থা বন্ধ হোক', সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক
ইদানীং প্রীতি তাঁর স্বামীর সঙ্গে কমই থাকতেন৷ এরই মধ্যে স্ত্রীর দ্বিতীয় বার গর্ভবতী হওয়ার খবরে সন্দেহ বাড়ে ওই ব্যক্তির৷ এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তিও শুরু হয়৷
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা দোকানের ভিতর থেকে মিলল মানুষের নাক, কান, মাথার খুলি !
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ মার্চ রাম সেবক নিজের স্ত্রী ও চার বছরের ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাজারে যায়৷ তাঁর যে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই, মাজারে দাঁড়িয়ে সেকথা বলার জন্য স্ত্রীর উপরে চাপ দিতে থাকে সে৷ কিন্তু রাম সেবকের কথায় রাজি হননি প্রীতি৷ এর পরেই রাগের বশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীকে খুন করে সে৷
খুনের পর নিজের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে রামসেবক৷ রক্তমাখা পোশাক ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও লুকিয়ে রাখে সে৷ তদন্তে নেমে সেসব উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
