যমজ দু’জনের রকম-সকম দেখে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল আত্মীয়-স্বজনের ৷ একজনের চুল স্ট্রেট, আরেকজনের কোঁকড়া ৷ একজনের নাক চ্যাপ্টা, আরেকজনের টিকোলো ৷ দম্পতির মনে হচ্ছিল হাসপাতালে বাচ্চা অন্য কারোর সঙ্গে বদলে যায়নি তো! সেই সন্দেহ থেকেই তাঁরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হানোইয়ের সেন্টার ফর জেনেটিক অ্যানালিসিস অ্যান্ড টেকনোলজির দ্বারস্থ হন ৷ রিপোর্ট হাতে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ ৷ দু’জন সন্তানেরই ডিএনএ তাদের মায়ের সঙ্গে মিললেও একজন সন্তানের ডিএনএ তাদের বাবার সঙ্গে মেলেনি ৷ রহস্য সমাধানে শার্লক হোমস নামানোর প্রয়োজন না হলেও এমন অদ্ভুত কাণ্ডে প্রাথমিক ধাঁধায় পড়েছিলেন সকলেই ৷
advertisement
রহস্যে ভেদ করে ভিয়েতনামের জেনেটিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট লি-ডিং-লুয়ান জানান, এমন ঘটনা বিরল হলেও অসম্ভব নয় ৷ বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘বাইপেরেন্টাল টুইন’ ৷ খুব কম সময়ের মধ্যে সন্তানের মা দু’জন ভিন্ন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংগমে লিপ্ত হলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে ৷ ভিন্ন পুরুষের শুক্রাণু একই ডিম্বানুকে নিষিক্ত করলে অথবা অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি আলাদা আলাদা ডিম্বানুকে নিষিক্ত করলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে একই সময়ে সন্তানরা ভূমিষ্ঠ হলেও দু’জনের গড়ন সম্পূর্ণ আলাদা হবে ৷ রিপোর্টের ব্যাখা সামনে আসার পর সন্তানদের মা স্বীকার করেন, তিনি গর্ভধারনের সময় এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন ৷ তাই এই দুই শিশু যমজ হলেও একে অপরের সৎ ভাই ৷