অনেক সময়েই দেখা যায় আইসিইউ-তে রোগী ভর্তি করানো নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস। ২৪ জন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
সাধারণ ভাবে রোগীর পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হলে বা দেহের কোনও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল না হলে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় না। অনেক সময় বেসরকারি হাসপাতাল গুলির দিকে অভিযোগ ওঠে তারা জোর করে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি বা স্থানান্তরিত করিয়ে দেয়। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশের ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আর কোনও দায় থাকবে না। সবটাই রোগী বা তাঁর পরিবারের ওপর বর্তাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শেষ জবাব দিতে চলেছি’, জানুয়ারি ৭! বড় সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী
নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও গুরুতর অসুস্থ রোগীর আর কোনও চিকিৎসা সম্ভব নয় অথবা চিকিৎসার সুযোগ নেই, এমন অবস্থা তৈরি হলে ওই রোগীকে আইসিইউতে রাখা নিরর্থক। একই ভাবে উপযুক্ত চিকিৎসার পরও রোগী যদি ‘প্রত্যাশিত সাড়া’ না দেন সে ক্ষেত্রেও তাঁকে আইসিইউতে রাখার কোনও মানে হয় না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই গাইডলাইন।
তবে সবচেয়ে যে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা হল, কারও বাঁচার ইচ্ছে আছে কিন্তু তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি হতে চান না, এমনটা হলেও ওই রোগীকে আইসিইউ-তে রাখতে পারবেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা জানান, “আইসিইউ-তে ভর্তি করানো নিয়ে অনেক সময় অবিশ্বাসের পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতাল এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে৷ এই নির্দেশিকার পর আশা করা যায় সেটা দূর হবে।”
এই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি পার্সিয়াল ইউথেনেসিয়া পত্রে সই করে থাকেন তাঁকেও আইসিইউ-তে দেওয়া যাবে না। তবে অতিমারির মত পরিস্থিতিতে আইসিইউতে রোগী ভর্তি করানোর ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুলোকে ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।