মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তিনি তার মেয়ের বিয়ে ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ হরিদ্বার জেলার থানা পিরান কলিয়ার একটি গ্রাম জাসা ওয়ালায় দিয়েছিলেন। এখানে পণলোভীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তাদের মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং HIV সংক্রমিত ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, যার ফলে মেয়েটি এখন মারণ রোগে সংক্রমিত। আদালতের আদেশে গঙ্গোহ কোতওয়ালিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মহাকুম্ভ থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না পরিবারের, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন ৬ শরীর…
ঘটনাটি পুরো জানলে চমকে উঠবেন আপনিও৷ পীড়িতার বাবার দায়ের করা রিপোর্টে অনুযায়ী, তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ তার মেয়ের বিয়ে জাসাওয়ালা থানা পিরান কলিয়ার (হরিদ্বার) গ্রাম জাসা ওয়ালার বাসিন্দা যুবকের সাথে দিয়েছিলেন। তারা ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন এবং মেয়েকে অনেক উপহার সহ বিয়েতে গাড়ি এবং ১৫ লাখ টাকা নগদ দিয়েছিলেন।
তাদের বিশ্বাস ছিল যে তাদের মেয়ে সুখী থাকবে। কিন্তু পণলোভী শ্বশুরবাড়ির পক্ষ গাড়ির জায়গায় স্করপিও এবং ১৫ লাখের জায়গায় ২৫ লাখ টাকার দাবি করেছিল। তারা পণের দাবি পূরণ করতে অস্বীকার করেছিল, যার ফলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিবাহিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। পঞ্চায়েতের চাপে কিছু সময় পরে তাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু নির্যাতন চলতে থাকে।
অত্যাচার ও মারধরে আহত মেয়েটিকে তারা বাবা হাসপাতালে ভর্তি করান৷ তখনই জানা যায় ভয়ঙ্কর বিষয়টি৷ মেয়েটির বাবা বাবা জানিয়েছেন যে, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কনে মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য কিছু ওষুধ দিয়েছিল। এর সঙ্গে তাকে HIV সংক্রমিত ইনজেকশনও দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে চরম মারধর করে আহত করা হয়৷
মেয়ের অবস্থা খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া যায় তখন বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং এখানে পরীক্ষায় দেখা যায়, তাদের মেয়ে HIV সংক্রমিত। তার স্বামীর পরীক্ষায় তিনি HIV নেগেটিভ পাওয়া যায়। মেয়েটির বাবার অভিযোগ দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী মেয়ের স্বামী, দেবর, ননদ এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশে মামলা চলছে। মেয়েটি সুবিচার পায় কি না সেটাই এখন দেখার৷
