কী ছিল সেই অভিযোগপত্রে? শ্রদ্ধা লিখেছিলেন, আফতাব তাঁকে ছ’মাস ধরে শারীরিক নির্যাতন করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। মারধরে আহত হওয়ার একটি ছবি বন্ধুদের কাছে পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা৷ কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথনেও উল্লেখ ছিল সে সবের। খুন হতে পারেন, কাটা হতে পারে টুকরো টুকরো করে৷ প্রতি মুহূর্তে এই ভয় গ্রাস করত তাঁকে৷ সত্যি হল সেটাই৷
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা বেরোতেই তুমুল হট্টগোল বিধানসভায়, বড় ইস্যুতে সুর চড়াল বিজেপি
আরও পড়ুন- 'মানুষের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ মমতার!
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অফতাব। তারপরে গুগল করে সে। সেখানে কীভাবে দেহ লোপাট করতে হয়, সেই বিষয়ে সন্ধান করে আফতাব। তারপরেই ধারালো সরঞ্জামগুলির সাহায্যে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে আফতাব। টুকরোগুলো যাতে পচন না ধরে তার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ নিয়ে এসেছিল আফতাব। সেই ফ্রিজেই টুকরোগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিল আফতাব। তারপরে প্রায় ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরো গুলি ফেলে দিয়ে আসত আফতাব।
তবে পুলিশের অনুমান, হত্যার সময়ে শ্রদ্ধার জামাকাপড় এমনকী নিজের পোশাক আফতাব কাছাকাছি কোনও ময়লা ফেলার স্থানে ফেলেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে। এই দুটি জায়গা অফতাবের ফ্ল্যাটের খুব কাছে রয়েছে। পোশাকগুলি হাতে আসলে তদন্তে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে অনুমান করছে পুলিশ। আফতাবের বাবা-মা বিবৃতি রেকর্ড করার জন্য দিল্লিতে আছেন৷ আছেন শ্রদ্ধার সহকর্মী করণও, যাঁকে তিনি হামলার কথা বলেছিলেন।