পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শ্যাম কলোনির বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম কণিষ্কা। গুলিটি কাঁধে লাগার পর তাকে গুরুতর অবস্থায় নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, নাবালিকাকে তার বাড়ির কাছে আক্রমণ করা হয়েছিল।
একটি গুলি তার কাঁধে লাগে, অন্যটি তার পেটে লাগে। অপরাধের পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত টিউশনের বন্ধু হাতে পিস্তল নিয়ে নাবালিকার দিকে ছুটে আসছে, সেই সময়ে সে অন্য মেয়েদের সঙ্গে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিল। এরপর তাকে মেয়েটির দিকে গুলি করতে দেখা যায়। পুলিশ অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।
‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত কণিষ্কার পরিচিত। মেয়েটি অভিযুক্তকে চিনতে পেরেছে, সে তার মতো একই কোচিং সেন্টারে পড়ে,’’ ফরিদাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। ‘‘আমরা একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। পুলিশ এবং অপরাধ শাখা অভিযুক্তদের খুঁজছে,’’ তিনি আরও যোগ করেন।
পুলিশ সোমবার জানিয়েছে, একটি পৃথক মামলায় ফরিদাবাদের একটি আদালত খেরি কালান গ্রামে ২০১৮ সালের শত্রুতার জের ধরে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
অতিরিক্ত দায়রা জজ সুরেন্দ্র কুমার একজন আসামিকে ৩০,০০০ টাকা এবং অন্য দু’জনকে ৩৫,০০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, ২০১৫ সাল থেকে খেরি কালান গ্রামে হেমরাজ এবং টেকচাঁদের নেতৃত্বে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছিল, প্রায়শই এই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মারামারি লেগেই থাকত।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ১০ মে টেকচাঁদ গ্রুপের অশোক গলিরাম নামে এক ব্যক্তি বাড়ির বাইরে সিঁড়িতে বসে ফোনে কথা বলছিলেন, ঠিক তখনই গৌরব অত্রি এবং উমেশ নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর কাছে আসেন।
বাইক থামলে পিছনে থাকা উমেশ অশোককে গুলি করেন। এরপর অভিযুক্তরা বাইকে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফরিদাবাদ পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে অশোক মারা যান।
প্রকাশ নামে যে ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তিনি বলেন যে হেমরাজ নামে এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগে তাঁকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এবং অশোককে হত্যার অভিযোগ তাঁর নামে এনেছিলেন।
