শিশুটির মৃতদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়, যাকে কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হয়েছিল। পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে প্রতিবেশী যুবক গোলুর হাত রয়েছে। পুরো ঘটনাটি জানলে চমকে যাবেন যে কেউ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভোরবেলা গরু পাচারের ছক ফাঁস, ৭ বাংলাদেশিকে আটক BSF-এর! উদ্ধার মাদক, মোষও…
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত আলোয়ারের বাসিন্দা কমল তাঁর স্ত্রী মায়া এবং সাত বছর বয়সী ছেলে আশিসকে নিয়ে বিলাসপুর থানা এলাকার ফতেহপুর গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। শনিবার আশিস বাড়ির কাছে খেলতে গিয়েছিল, কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি।
বাচ্চা এত সময় পরেও না ফেরায় চিন্তা শুরু হয় অভিভাবকদের৷ মাও তাকে খুঁজে পাননি। পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই তার খোঁজ শুরু করেন, কিন্তু কোনও সূত্র মেলেনি। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরি করে আশিসের সন্ধান শুরু করে।
রবিবার দুপুরে পুলিশ খবর পায় যে, কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ের কাছে কালাওয়াড়ি গ্রামের গ্রিন বেল্টে একটি শিশুর মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দেহটিতে প্রায় এক ডজন কাঁচি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন যে, দুই মাস আগে তাঁর মোবাইল চুরি হয়েছিল, এবং সেই সময় আশিস অভিযুক্ত গোলুকে চুরি করতে দেখে ফেলেছিল। আশিস এই কথা তার বাবাকে জানিয়ে দেয়। এই আক্রোশেই গোলু নিষ্পাপ শিশুটিকে হত্যা করেছে। বর্তমানে, পুলিশ হত্যার ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্ত রমেশ ওরফে গোলুকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং পরবর্তী তদন্ত চলছে।