জিএসটি-র এই পরিবর্তনের ফলে সিগারেটের দাম বাড়লেও সস্তা হবে বিড়ি! এই খবর শোনার পর অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। সিগারেট দামি হচ্ছে, অথচ বিড়ি সস্তা হচ্ছে কেন! এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল। এর পিছনে আসল কারণটা কী? জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি তথ্য বলছে, সারা দেশে প্রায় ৪৯.৮২ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই ছোট শহর ও গ্রামে বসবাস করেন। বিড়িশ্রমিকদের বেশিরভাগই মহিলা। গৃহস্থালির কাজ, সন্তান লালনপালনের পাশাপাশি বাড়িতে বসে তাঁরা বিড়ি শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
advertisement
বিড়ি শিল্পে আয় অত্যন্ত কম। ২০২৩ সালে ব্রিটিশ সেফটি কাউন্সিলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১০-১১ সালে একজন বিড়ি শ্রমিকের গড় মজুরি ছিল একজন সাধারণ শ্রমিকের আয়ের মাত্র ১৭%। তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিকরা প্রতি ১০০০ বিড়িতে প্রায় ১৫০ টাকা পান। অর্থাৎ রোজ গড়ে ৪০০-৭০০টি বিড়ি উৎপাদনের মাধ্যমে তাদের আয় খুবই কম।
আরও পড়ুন- মহিলাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে নগ্ন পুরুষের দল, চোখের নিমেষে উধাও! মেরঠের গ্রামে প্রবল আতঙ্ক
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-র লিস্ট বলছে, বিড়ির ক্ষেত্রে জিএসটি ২৮ থেকে কমে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ির ক্ষেত্রে যে পাতায় তামাক মোড়া হয়, সেই পাতার ক্ষেত্রেও জিএসটি কমে ১৮ থেকে ৫ শতাংশ হয়েছে।
সাধারণত নিম্নবিত্ত মানুষের হাতেই বেশি দেখা যায় বিড়ি। ফলে তাদের কিছুটা সুবিধা হবে, এটা ধরে নেওয়াই যায়। কেউ কেউ আবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বহু জায়গায় ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পড়ে এই বিড়ি শিল্প। সারা দেশে অন্তত ৭০ লক্ষ মানুষ কোনও না কোনও ভাবে এই বিড়ি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত।
বিড়ি বাঁধার জন্য লাগে কেন্দু পাতা। এটি আবার সরকারের চোখে কৃষিজাত পণ্য। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসমের মতো রাজ্যে এই ধরনের পাতা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, বিড়ি ও বিড়ি তৈরির উপকরণে ট্যাক্স বাড়ানো হলে তা ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।