জানা গিয়েছে, জম্মু-শ্রীনগর পুরানো জাতীয় সড়কের পাদশাহ সেতুর কাছে পুলিশের গাড়ির উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের একজন পুলিশ কর্মী এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ৫০০ উদ্ধারকর্মীর ১০৪ ঘণ্টার চেষ্টায় পরিত্যক্ত গভীর গর্ত থেকে উদ্ধার ছোট্ট রাহুল
advertisement
হামলার পর পরই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং হামলাকারীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে।
এলাকায় চিরুনি তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বিজবেহারা থানায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, দুই লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) সন্ত্রাসীকে এদিন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুই জঙ্গি। তারা শোপিয়ানের ব্রারিপোরার বাসিন্দা জান মহম্মদ লোন এবং শোপিয়ানের রামনগরীর বাসিন্দা তুফায়েল নাজির গনি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কাশ্মীরের ইন্সপেক্টর-জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি), বিজয় কুমার বলেছেন, ২ জুন কুলগামে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বিজয় কুমারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল মহম্মদ লোন। তিনি আরও বলেছেন, লোন এর আগে এলইটি কমান্ডার আদিল রমজানের জন্য ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার (ওজিডাব্লু) হিসাবে কাজ করেছে। জঙ্গি নেতাদের নির্দেশে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা করেছিল সে।
আরও পড়ুন- রেলে ফিরছে প্রবীণদের ছাড়? বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিভ্রান্তি, খারিজ করল রেল বোর্ড
গত কয়েক মাসে লাগাতার পুলিশ ও সেনার উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেনার কর্তাদের অনেকে বলছেন, অস্তিত্ব জানান দিতেই এমন হামলা চালাচ্ছে তারা। তবে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ আগের থেকে অনেক কমেছে বলে দাবি করেছেন সেনা কর্তারা।