বিলাসপুর : ৫০০ উদ্ধারকর্মীর ১০৪ ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টার পর অবশেষে পাতকুয়োর পরিত্যক্ত গর্ত থেকে উদ্ধার করা হল ১১ বছর বয়সি রাহুল সাহুকে ৷ ছত্তীসগড়ের জঞ্জগির চম্পা জেলার বাসিন্দা ওই বালকের কথা বলা ও শ্রবণশক্তিতে সমস্যা রয়েছে আজন্ম ৷ মঙ্গলবার রাতে তাকে উদ্ধার করার পর স্বস্তিজনক পরিস্থিতি তার পরিবারে তথা প্রত্যেক দেশবাসীর মনে ৷
রাহুলের বাড়ি ছত্তীসগঢ়ের জঞ্জগির চম্পা জেলার মালখারোডা ব্লকের পিহরিড় গ্রামে৷ গত ১০ জুন, শুক্রবার দুপুর ২ টো নাগাদ খেলতে খেলতে আচমকাই সে পড়ে যায় তার বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা ৮০ ফুট গভীর বোরওয়েলে ৷ পরিত্যক্ত ওই কুয়োর ৬০ ফুট গভীরতায় আটকে যায় সে ৷ ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF)-এর আধিকারিকরা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন-সহ ৫০০ জনের বেশি সামিল হন উদ্ধারকারী দলে ৷ শুক্রবার বিকেল থেকেই শুরু হয় উদ্ধারপর্ব ৷
advertisement
শিশুদের পরিত্যক্ত বোরওয়েল থেকে উদ্ধার করে বাইরে আনার ক্ষেত্রে এটাই দীর্ঘতম উদ্ধারপর্ব ৷ এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ২০০৬ সালে প্রিন্স-পর্ব৷ হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরকে ৫০ ঘণ্টা পর বার করে আনা সম্ভব হয়েছিল পরিত্যক্ত বোরওয়েল থেকে ৷
রাহুলের উদ্ধারপর্ব ঠিকভাবে রূপায়িত হওয়ার ফলে স্বস্তিতে ছত্তীসগঢ় রাজ্য প্রশাসনও ৷ শুক্রবার থেকেই পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ৷ তিনি ট্যুইট করেছেন, ‘‘সকলের প্রার্থনা ও উদ্ধারকারী দলের নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসে নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে রাহুলকে ৷’’ রাহুল যাতে এই অভিজ্ঞতার ঘোর কাটিয়ে দ্রুত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়েও শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি ৷
मुख्यमंत्री श्री @bhupeshbaghel ने राहुल की दादी से किया अपना वादा पूरा किया कि "तोर नाती ला बोरवेल ले निकाल लेबो।" अपनी व्यस्तताओं के बावजूद उन्होंने स्वयं पल-प्रतिपल पूरी कार्यवाही की मॉनिटरिंग की और बचाव दल को हर सम्भव सहायता उपलब्ध कराने का आदेश दिया।#SaveRahulAbhiyaanpic.twitter.com/zkH9sv6zAf
ভয়াবহ ও দুঃসহ এই অভিজ্ঞতার পর এখন কেমন আছে রাহুল? বিলাসপুরের জেলাশাসক জিতেন্দ্র শুক্লা জানিয়েছেন, ‘‘তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ৷ সে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে ৷’’ তিনি আরও জানান, গ্রিন করিডোর তৈরি করে প্রায় ১০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে রাহুলকে বিলাসপুরে এনে ভর্তি করানো হয়েছে নামী বেসরকারি হাসপাতালে ৷ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন ৷