২০২১-২২-এর জন্য, কোভিড টিকাকরণের (Covid Vaccination) প্রকৃত বাজেট ৩৫,০০০ কোটি নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা পরে সংশোধন করে ৩৯,০০০ কোটি করা হয়। কিন্তু এই বছর, বাজেট কমিয়ে ৫,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে৷
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত, ১৬৭ কোটিরও বেশি জনগণের ভ্যাকসিন ডোজ হয়ে গিয়েছে৷ মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৯৫ শতাংশের একটি ডোজ এবং ৭৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের দুটি ডোজ (Covid Vaccination) নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রাজ্যগুলিতে সরবরাহ করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ ও কাল কুয়াশার দাপট, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে ? জেনে নিন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পদক্ষেপটি একটি সংকেত হতে পারে যে, সরকার সারা দেশে বিনামূল্যে টিকা প্রদানে তার ভূমিকা পালন করেছে, কোভিডের মতো মহামারি থেকে বাঁচিয়েছে৷ এখন বাকি শুধু বুস্টার ডোজ৷ যা কিনতে হবে নিজেদের খরচে৷
গত সপ্তাহে, সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে (Serum Institute of India’s Covishield and Bharat Biotech’s Covaxin) সম্পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছে৷ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনগুলি এখন ক্লিনিক এবং হাসপাতাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে কেনা যেতে পারে, অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতো। তবে যাই হোক CoWin প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করাতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার (পিএইচএফআই) সভাপতি ডাঃ কে শ্রীনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, (Dr Reddy from PHFI) "অধিকাংশেরই টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে৷ পরিস্থিতির মূল্যায়ন করলে স্পষ্ট, জনগণকে টিকা দেওয়ার জন্য সরকারের মূল দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে। যারা বুস্টার চান তারা প্রাইভেট প্রোভাইডার থেকে কিনতে পারেন৷"
NTAGI-এর বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ভারতের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পশ্চিমের দেশগুলি থেকে আলাদা হওয়ায় বুস্টারগুলি সকলের জন্য প্রয়োজন নাও হতে পারে৷ টিকাদান কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে বুস্টার বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিজেদের উপর নির্ভর করবে৷
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের (এনটিজিআই) প্রধান এন কে অরোরা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "বুস্টারের পিছনের বিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের বোঝার একটি ফাঁক রয়েছে৷ সেগুলি আদৌ দেওয়া উচিত কিনা, যদি উচিত হয় তাহলে, কাকে দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা নেই৷" এপিডেমিওলজিস্ট ডাঃ চন্দ্রকান্ত লাহরিয়া বলেন, "৫,০০০ কোটি বরাদ্দ যথেষ্ট৷"