মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৭১ অনুযায়ী সারোগেসি প্রক্রিয়া চলাকালীন সারোগেট মাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। সারোগেসি (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২১ এই বছরের ২৫ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন- "আরও সময় প্রয়োজন," হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ইডির কাছে সময় চাইলেন সনিয়া গান্ধি!
জারি করা নিয়মগুলিতে রেজিস্টার্ড সারোগেসি ক্লিনিকে নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা এবং যোগ্যতার পাশাপাশি সারোগেসি ক্লিনিকের রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম, পদ্ধতি এবং মূল্যের উল্লেখও করা আছে। সারোগেট মায়ের সম্মতির ফর্মের বিশদও তাতে দেওয়া আছে।
advertisement
“ইচ্ছুক মহিলা বা দম্পতি সারোগেট মায়ের জন্য কোনও বীমা কোম্পানি বা বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী অধীনে প্রতিষ্ঠিত ও বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্বারা স্বীকৃত কোনও এজেন্টের কাছ থেকে ৩৬ মাসের জন্য একটি সাধারণ স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ কিনবেন। বীমার অর্থের পরিমাণ এমনই হবে যাতে গর্ভাবস্থা এবং প্রসবোত্তর ও প্রসবকালীন জটিলতা থেকে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার খরচ বহন করা যায়,” বলা হয়েছে নিয়মে৷
আরও পড়ুন- "লাইব্রেরি যাও, খবরের কাগজ পড়ো": পড়ুয়াদের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের!
সারোগেসি প্রক্রিয়া চলাকালীন ইচ্ছুক দম্পতি/মহিলাকে চিকিৎসার খরচ, স্বাস্থ্য সমস্যা, নির্দিষ্ট ক্ষতি, অসুস্থতা বা সারোগেট মায়ের মৃত্যু এবং এই ধরনের সারোগেট মায়ের উপর হওয়া অন্যান্য নির্ধারিত খরচের জন্য ক্ষতিপূরণের গ্যারান্টি হিসাবে আদালতে হলফনামা দিতে হবে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সা চলাকালীন একজন সারোগেট মায়ের জরায়ুতে একটি ভ্রূণ স্থানান্তর করবেন।
শর্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে, সর্বোচ্চ তিনটি ভ্রূণ স্থানান্তর করা যেতে পারে, বলা হয়েছে নিয়মে। কোনও মহিলা সারোগেসির পথ বেছে নিতে পারেন যদি তাঁর জরায়ু না থাকে বা জরায়ু বাদ দেওয়া হয়ে থাকে বা জরায়ু উপযুক্ত না হয়ে থাকে বা যদি গাইনোকোলজিক্যাল ক্যান্সারের মতো কোনও চিকিৎসার কারণে জরায়ু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়ে থাকে।
চিকিৎসার কারণে একাধিকবার গর্ভাবস্থার ক্ষতির ক্ষেত্রেও কেউ এই পথ বেছে নিতে পারেন। কারও যদি এমন কোনও অসুস্থতা থাকে যাতে গর্ভাবস্থায় প্রাণহানি বা অন্যান্য ক্ষতির ঝুঁকি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রেও সারোগেসি ব্যবহৃত হতে পারে।