TRENDING:

সুসংবাদ! ফেব্রুয়ারিতেই করোনা সংক্রমণের উপরে নিয়ন্ত্রণ, জানিয়ে দিল সরকারি প্যানেল

Last Updated:

যদি করোনা নির্দেশিকা পালন করা হয়, তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের উপরে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: করোনার যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার, তা চলে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের উপরে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা আক্রান্তের আর মৃতের সংখ্যা কমেছে। বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণের বিস্তার বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তবে নীতি আয়োগ-এর সদস্য ভি কে পল শীতের মরশুমে (Coronavirus in Winters) সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর সম্ভাবনা অস্বীকার করেননি। যদিও তিনি একথাও বলেছেন যে যদি করোনা নির্দেশিকা পালন করা হয়, তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের উপরে নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যেতে পারে।
advertisement

ভি কে পল, দেশের মহামারী মোকাবিলায় ভ্যাকসিন পরিচালনা সংক্রান্ত ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন যে একবার কোভিড ১৯-এর টিকা আবিষ্কার হলেই, সেটিকে নাগরিকদের কাছে উপলব্ধ করার পর্যাপ্ত সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন রবিবারই প্রথম জানান, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। যদিও তাঁর মত, এই সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত কয়েকটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা গোষ্ঠী সংক্রমণের আওতায় থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গকেও রাখছে কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জুলাই মাস থেকে বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ।

advertisement

সাপ্তাহিক ওয়েবিনার সানডে সংবাদে প্রতি সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও হাজির হয়েছিলেন হর্ষবর্ধন। নানা প্রশ্নের মধ্যেই উঠে আসে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রশ্ন। হর্ষ বর্ধন জানান, বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকটি পকেটে গোষ্ঠী সংক্রমণ আরও ছড়াবার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষত যেসব অঞ্চলে ঘন জনবসতি রয়েছে, সেখানেই এই সংক্রমণের সম্ভাবনা। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাও এই তালিকায় রয়েছে। তবে গোটা দেশেই গোষ্ঠী সংক্রমণের থাবা বসেনি।

advertisement

অতীতে বহুবার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা উঠলেও এড়িয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে ছোট সংক্রমণের ঘটনা। কিন্তু আমআদমি সরকার পরিচালিত দিল্লি এবং বামরাজ্য কেরল গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করেছে। এবার সংক্রমণের তৃতীয় ধাপে উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। এই তৃতীয় পর্যায়ের অর্থ গোষ্ঠী সংক্রমণ। চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছে অতিমারী। উল্লেখ্য প্রথম দু'টি পর্যায় হল, বিদেশ থেকে আসা সংক্রমণ এবং স্থানীয় ভাবে তার ছড়িয়ে পড়া।

advertisement

প্রসঙ্গত, এদিনই সরকারি অ্যাডভাইসারি কমিটি বলেছে ভারতে ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরের করোনার সঙ্গে লড়াই করার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে সংক্রমণ নাগালে আসবে। কিন্তু পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে জমায়েত নিয়েও।

রবিবারও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ। এই কমিটির দাবি দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা শেষমেষ ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ১ কোটি পাঁচ লক্ষ আক্রান্ত হবেন সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই। কিন্তু সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে করোনারোগীর সংখ্যা আর তেমন থাকবে না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৮ মাস। এই আটমাসে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃ্ত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩১ জনের। কিন্তু কোনও ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ রুখতে একমাত্র ওষধি হিসেবে কাজ করেছে লকডাউন। এমনটাই মনে করছে ওই কমিটি। তাদের বক্তব্য, সময়মতো লকডাউন না হলে ভারতে করোনায় মৃত্যু ২৫ লক্ষ ছাড়াত। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে প্রভাব পড়তে পারত আরও ১৫ গুণ বেশি।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
সুসংবাদ! ফেব্রুয়ারিতেই করোনা সংক্রমণের উপরে নিয়ন্ত্রণ, জানিয়ে দিল সরকারি প্যানেল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল