জৈন পরিবারের ফ্ল্যাট থেকে পচা দুর্গন্ধ বার হওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান প্রতিবেশীরা। সাহিবাবাদের পুলিশ কমিশনার রজনীশ কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার পর দেখা যায় মেঝেতে শায়িত নিথর কিশোর। তার পাশেই বসে আছেন কোমল এবং কাব্যা। পুলিশকে দু’জনে জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন তেজস ঘুমোচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : নেই স্বাদ, নেই গন্ধ! বাজার থেকে এ কী ইলিশ কিনছে ভোজনরসিক বাঙালি? দুর্দশার কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে জৈন পরিবার পাড়ায় কারওর সঙ্গে মিশত না। এমনকি, সন্ধ্যায় তাঁদের ফ্ল্যাটে আলো জ্বলতেও দেখা যেত না বাইরে থেকে। অসুস্থতার জন্য দ্বাদশ শ্রেণীর পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন কাব্যা। তাঁদের সংসারের খরচ চালাতেন কোমলের ভাই, দিল্লির বাসিন্দা প্রশান্ত জৈন।
পুলিশ জানিয়েছে জৈন পরিবারের ফ্ল্যাট খুবই নোংরা এবং অগোছালো পরিস্থিতিতে ছিল। অটোপ্সি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে সেপ্টিসেমিয়া বা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তেজসের। বুধবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।