বন্ধুত্ব ক্রমশ গাঢ় হতেই শুরু হয় একসঙ্গে রান্না করা, পার্টিতে হৈ চৈ থেকে শুরু করে দোকানবাজার করা। দুজনেরই মনে হতে থাকে তাঁদের বন্ধুত্ব রূপ নিয়েছে অন্য কিছুতে। শেষ পর্যন্ত প্রোপোজ করেন সৌগতই। পাঁচ বছর প্রেম পর্বের পর দুজনেই সম্পর্কের বিষয়ে জানান নিজেদের বাড়িতে। তাঁদের অভিভাবকরা মেনে নিতে পারেননি। তবে দুজনেই পাশে পেয়েছিলেন নিজের বোনকে। এক বছর অপেক্ষার পর অবশেষে পান অভিভাবকদের সম্মতি।
advertisement
আরও পড়ুন : কাজের বাড়িতে সকলকে মিষ্টিমুখ করালেন পরিচারিকা, কারণ জানলে আপনার চোখেও জল আসবে
তাঁদের একত্র জীবন পাল্টে যায় ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবক হওয়ার পর। ২০২০ সালে তাঁরা সারোগেসির সিদ্ধান্ত নেন। পরের বছর স্বাদ পান পিতৃত্বের। ময়ঙ্ক জানান "২০২১ সালে আমরা ছেলে ও মেয়ের পিতৃত্ব লাভ করি। সত্যি কথা বলে কী, পিতৃত্বের স্বাদ আমাদের আমূল পাল্টে দিয়েছে। সন্তানদের দোলনায় দোল দেওয়া থেকে শুরু করে গান গেয়ে ঘুম পাড়ানো-আমাদের জীবন জুড়ে আছে শুধুই ওরা। ওদের প্রথম বলা কথা থেকে প্রথম হাঁটতে শেখা-সব আমাদের কাছে খুব স্পেশাল। সন্তানদের প্রথম জন্মদিনেই আমরা বিয়ে করি। আমাদের একসঙ্গে পথ চলা উদযাপন করার এর থেকে ভাল দিন আর ছিল না।"
আরও পড়ুন : সন্তান ৮ জন, ৮৭ বছর বয়সে জীবনে প্রথম বার লেখাপড়া শিখলেন ১৩ নাতিনাতনির এই ঠাকুমা
এখন বাবা মায়েদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন ময়ঙ্ক ও সৌগত। তাঁদের সন্তানদের দেখভালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে দুই বাবার তরফে ঠাকুরদা ঠাকুমারই। সব বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে তাঁদের ভালবাসা এভাবে পূর্ণতা পাওয়ায় খুশি উজান স্রোতে পাড়ি দেওয়া ময়ঙ্ক ও সৌগত।