জানা গিয়েছে যে এই প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানটি সংঘটিত হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরের একটি কৃষিক্ষেত্রে। এই জায়গায় এসে সামান্য হলেও অবাক হতে হয়। সাধারণত সেই সব স্থানেই প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য বেশি চলে যেখানে মাটির নিচে কোনও স্থাপত্য আবিষ্কারের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সে সব কিছু ছিল না। এটি নিতান্তই চাষের জমি, যা প্রাক্তন মন্ত্রী এন রঘুবীর রেড্ডির মালিকানাধীন। তাহলে ই শিবনাগী রেড্ডির নেতৃত্বে ওই এলাকায় খননকার্য সম্পাদিত হল কেন?
advertisement
কারণ আশেপাশের অঞ্চল থেকে এর আগে উদ্ধার হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মদকাশীর মণ্ডলের অন্তর্গত নীলকণ্ঠপুরম গ্রাম থেকে অতীতে মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে এবার শিবনাগীর দল খুঁজে পেল গণেশের এই পোড়ামাটির মূর্তিটি। শিবনাগী জানিয়েছেন যে এটির নির্মাণকাল দ্বিতীয় শতক, রাজা সাতবাহনের শাসনকালে তৈরি হয়েছিল এটি। আগে কাঁচা মাটি দিয়ে অবয়বটি তৈরি করে নিয়ে তার পরে এটিকে পোড়ানো হয়েছিল। দক্ষিণপদ ভূমিতে রেখে, বামপদ ভাঁজ করে রেখে একটি সিংহাসনে ললিতাসনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে এই গণেশকে। তবে এই মূর্তিটির হাত, পা এবং কিছু কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও এটি চিনতে কোনও অসুবিধা হয় না। শিবনাগী নিজে তো বটেই, পাশাপাশি ইতিহাসবিদ আরএইচ কুলকার্নিও এটিকে গণেশের মূর্তি বলেই চিহ্নিত করেছেন।