২০১৫ এবং ২০২০ সালের পরে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও শূন্য পেল কংগ্রেস। এর আগে গত বছরের লোকসভা নির্বাচনেও ৭টি আসনের একটিও জিততে পারেনি ভারতের শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দল। এবার বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরে জয়ী বিজেপি তো বটেই ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের থেকেও কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
advertisement
এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি বিধানসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৩ সালে দুর্নীতি ইস্যুতেই শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী আক্রমণ চালিয়েছিল বিজেপি এবং কেজরিওয়ালের আপ। সেই সময়ে অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছিল অন্না হাজারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। অন্না হাজারের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে একা লড়ে পড়ে স্বতন্ত্রতা অর্জন করে কেজরীর নেতৃত্বাধীন আপ। বিজেপি আপের জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ২০১৫ এবং ২০২০ সালে শূন্য হতে হয় কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন: ভারত ছাড়াও অনেক দেশের নোট ছাপা হয় ভারতের টাঁকশালে, কোন কোন দেশের জানলে চমকে উঠবেন
২০২৫ সালে আপের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে প্রবল প্রচার করেছিল বিজেপি। আবগারি নীতি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় জেলে যেতে হয় কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসৌদিয়াকে। কেজরিওয়ালের দল তৈরি হয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেই, সেই দুর্নীতি ইস্যুই বুমেরাং হয়ে গেল আপের, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতি কারবারিদের একাংশ। সেই সঙ্গে রয়েছে দিল্লির নেতৃত্বহীনতা। শীলা দীক্ষিতের পরে দিল্লিতে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে দেখা যায়নি, বিশেষ করে বিজেপি যেখানে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দিল্লির নির্বাচনে। সঙ্গে রয়েছে ইন্ডিয়া জোট হিসাবে না লড়ার সমীকরণও। এই হারের ফলে কংগ্রেস হাই কমান্ড কী পদক্ষেপ করে তা-ই দেখার।