“উপজাতি সম্প্রদায়ের একজন মহিলা” হওয়ার কারণে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করার বিষয়ে দলের ২২ জন সাংসদের মধ্যে ১৬ জনই উদ্ধব ঠাকরেকে চাপ দেন। নির্বাচিত হলে দ্রৌপদী হবেন ভারতের প্রথম উপজাতীয় মহিলা যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন৷ উপজাতি ইস্যুটি মহারাষ্ট্রে বড় রাজনৈতিক ফ্যাক্টর, এখানে জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশই তপশিলি উপজাতি।
আরও পড়ুন- "উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই, এটা বঙ্গ": বিরোধীদের কড়া বার্তা অভিষেকের!
advertisement
গত মাসে শিবসেনার বিদ্রোহের সময়, একনাথ শিন্ডের দল উদ্ধব ঠাকরেকে সেনার ‘প্রকৃত বন্ধু’ বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার এবং কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু উদ্ধব ঠাকরে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন এবং তাঁর বেশিরভাগ বিধায়কই একনাথ শিন্ডের শিবিরে চলে যাওয়ায় তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়।
গতকাল আরেকটি শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হন উদ্ধব ঠাকরে। দলের সাংসদদের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছেন লোকসভার ১৯ জন, রাজ্যসভার ৩ জন নিয়ে মোট ২২ জন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন যারা ইতিমধ্যে একনাথ শিন্ডের শিবিরে রয়েছেন তাঁরা বৈঠকে আসেননি। এবং উদ্ধব ঠাকরের অনুগত ১৬ জনই দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের পক্ষেই রায় দেন। এই নির্বাচনে কোনও বাধ্যতামূলক ‘হুইপ’ না থাকায় দলের কাছে তেমন কোনও বিকল্প ছিল না, তাই সাংসদরা তাঁদের ইচ্ছামতোই ভোট দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- উপরাষ্ট্রপতি পদে মহিলা প্রার্থীর সন্ধানে বিরোধী শিবির, শীঘ্রই হবে বৈঠক
শিবসেনা এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করেছিল। বিজেপির দীর্ঘ সময়ের রাজনীতিবিদ ছিলেন যশবন্ত। যৌথ বিরোধী প্রার্থী হিসাবে যশবন্ত সিনহা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হলেও এনডিএ বহির্ভূত বেশ কয়েকটি দলই উপজাতীয় পরিচয়কে সামনে রেখে দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।