TRENDING:

কৃষক আন্দোলন: আত্ম-স্বার্থকেন্দ্রিক নেতাদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি, মুনাফা হচ্ছে বিরোধীদের!

Last Updated:

আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন পাশের পর। যা তিনটি বিলের উপর দাঁড়িয়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Ravi Shanker Kapoor (CNN-News18)
advertisement

#নয়াদিল্লি: দফায় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও মিলছে না রফা সূত্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে কৃষকরা আইন সংশোধন নয়, বাতিলের দাবিতে অটল থাকায় সমাধান হয়নি সমস্যার। যত দিন এগোচ্ছে আন্দোলনের (Farmetr's Protest) চেহারা তত বড় আকার নিচ্ছে। কৃষকদের আন্দোলনকে বেশিরভাগ বিরোধী রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। এই আন্দোলন এখন শুধু দেশেই নয়, ছড়িয়ে গেছে দেশের বাইরেও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন কৃষকদের সমর্থনে কথা বলছে। এত কিছুর মাঝে আদতে মুনাফা হচ্ছে কিছু আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক নেতাদের। তারাই সমর্থন পাচ্ছে দেশের সমস্ত প্রান্তের।

advertisement

আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন পাশের পর। যা তিনটি বিলের উপর দাঁড়িয়ে। প্রথমটি ফারমার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) বিল ২০২০ (Farmers Produce Trade and Commerce ,Promotion and Facilitation Act)। দ্বিতীয়টি, দ্য ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রটেকশন) এগ্রিমেন্ট অব প্রাইস অ্যাসিওরান্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস বিল, ২০২০ (The Farmers Empowerment and Protection Agreement Act) এবং তৃতীয়টি হল এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা অত্যাবশ্যক পণ্য আইন (The Essential Commodities Amendment Act)। এই তিনটি বিলের ফলে মান্ডির (Mandi) বাইরে কৃষি থেকে আয়ের কোনও উপায় নেই রাজ্যের হাতে। অত্যাবশ্যক হয়েও চাল, ডাল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ আর আলু অত্যাবশ্যক পণ্য থাকল না। রাজ্যের হাতেও বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনও অধিকার থাকল না। পাশাপাশি মান্ডির বাইরে কৃষকরা কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গেও চুক্তি করতে পারে।

advertisement

আর এই নিয়েই আন্দোলন শুরু হয় নভেম্বরের শেষ থেকে। প্রায় ১৯ দিন আন্দোলনের পর আজ থেকে অনশনেও বসেছেন কৃষকরা। তবে, এর দ্বারা মার্কেটিং রিফর্মসের কল্পনা করেনি মোদি সরকার (Narendra Modi)। যাঁরা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন বা বিশেষজ্ঞরা এর আগে বহুবার কৃষি ক্ষেত্রে মার্কেটিং রিফর্মসের প্রসঙ্গ তুলেছেন। ২০১২-২০১৩ ইকোনমিক সার্ভে উদারিকরণের দিকে জোর দেয়। ২০০৩ সালে কেন্দ্রের করা মডেল APMC (এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটি) আইনে রাজ্যগুলিকে কৃষি বিপণনের জন্য বাজারভিত্তিক পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলা হয়। এ ক্ষেত্রে মার্কেট রিফর্মের কাজ শেষ করা প্রয়োজন। যাতে কৃষকরা নিজেদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য অন্য কোনও বাজার পায়।

advertisement

UPA সরকারের আমলে যে অর্থনৈতিক সার্ভে হয় এবং তাতে যা যা প্রস্তাব করা হয়, তার উপরে ভিত্তি করেই মোদি সরকার কাজ করেছে। কিন্তু বর্তমানে UPA-ই এই বিলগুলির বিরোধিতা করছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ট্যুইট করে লেখেন, মোদি সরকার কৃষকদের উপরে অত্যাচার করেছে। প্রথমে তারা কালো, অন্ধকার আইনে বেঁধেছে কৃষকদের, তার পর তাদের উপরে লাঠি-চার্জ করেছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে, যখন কৃষকরা আওয়াজ উঠিয়েছে, তখন তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। #SpeakUpForFarmers ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কৃষক ভাই-বোনেদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

advertisement

শুধু রাহুলই নয়, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে এ বছর জন্মদিন পালন করেননি খোদ সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। কৃষকদের নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের পাশেই দাঁড়িয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভডরাও (Priyanka Gandhi Vadra)। তিনিও হিন্দিতে ট্যুইট করে লেখেন, আইনটির নাম করা হয়েছে কৃষি আইন কিন্তু সমস্ত সুবিধা পাবে কোটিপতি বন্ধুরা। কী ভাবে কৃষি আইন বলবৎ হল কৃষকদের সঙ্গেই কথা না বলে? আইন প্রণয়নের সময়ে কী ভাবে কৃষকস্বার্থকে এড়িয়ে গেলেন তাঁরা? প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তাই অনেকেই বলছেন যে রাজনৈতিক দলগুলি ও রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের মতো করে এই আন্দোলনে ভূমিকা নিচ্ছেন এবং নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছেন। তাই এখানে যাঁরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির নেতা, তাঁদের মানুষের স্বার্থে কাজ করা উচিৎ। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে মানুষকে তার ভালোটা বোঝানো উচিৎ। আদৌ বিষয়টা কী, কী লাভ বা ক্ষতি রয়েছে কৃষি আইনে সেটা বোঝানো উচিৎ কৃষকদের।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
কৃষক আন্দোলন: আত্ম-স্বার্থকেন্দ্রিক নেতাদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি, মুনাফা হচ্ছে বিরোধীদের!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল