আরও পড়ুন: বছরব্যাপী আন্দোলনের অবসান, অবশেষে ঘরে ফিরছেন কৃষকরা! খালি হতে চলেছে সিঙ্ঘু সীমান্ত...
তিন আইন প্রত্যাহারের পরেই আন্দোলন তুলে নেওয়া(Farmers Protest Ends) নিয়ে চাপ তৈরি হচ্ছিল। কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে দাবি উঠছিল মূল দাবি পূরণ হয়েছে। এবার আন্দোলন প্রত্যাহার (Farmers Protest) করা হোক। কেন্দ্রের তরফেও বার বার কৃষক নেতাদের ফোন করে আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছিল। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেছিলেন একাধিক কৃষক নেতাদের।
advertisement
সিঙ্ঘু সীমানায় গত দু’দিন বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। বেশ কিছু বিষয়ে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তারা। কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবের অস্পষ্টতা রয়েছে বলে জানান ৫ সদস্যের কমিটি। পরে কেন্দ্রের কাছে তাদের দেওয়া প্রস্তাবের স্পষ্টতা চাওয়া হয়েছিল। এদিন কেন্দ্রের তরফে চিঠি পাঠিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাবে সন্তুষ্ট কৃষক সংগঠনগুলি (Farmers Protest Ends)।
আরও পড়ুন: ৪৫% দগ্ধ! চপার দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং! কেমন আছেন তিনি?
কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) চলাকালীন মোট ৭০০ কৃৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে গত ৩০ নভেম্বর একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের মৃত্যুর বিষয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নেই। তবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি সম্প্রতি সংসদে দাড়িয়ে ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের দাবি তুলেছিলেন। রাহুল জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যে পঞ্জাব সরকার ৪০০ কৃষক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। এ ছাড়াও ১৫২ জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাঁর কাছে হরিয়ানার ৭০ কৃষকের তালিকা আছে, যাঁদের কৃষক আন্দোলনের সময় মৃত্যু হয়েছে।