শনিবার সংযুক্ত কিসান মোর্চার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত দেশজুড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: আজ 'সেমিফাইনালের' ফলপ্রকাশ, ত্রিপুরার পুরভোটে দাঁত ফোঁটাতে পারবে তৃণমূল?
গত এক বছর ধরে ৩টি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকরা। গত ১৯ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘তিনটি কৃষি আইন কৃষকদের সুবিধার জন্যই আনা হয়েছিল। কিন্তু সব রকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কৃষকদের একটি অংশকে তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। তাঁদের রাজি করাতে পারিনি। কোথাও আমাদের বোঝানোয় ত্রুটি ছিল। তাই ক্ষমা চাইছি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই আইন ৩টি ফিরিয়ে নেওয়া হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: 'কলকাতার প্রতি আলাদা ভালোবাসা'! তবে কি? বাবুল সুপ্রিয়র এক মন্তব্যেই ফের তোলপাড়
শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষকদের আরও একটি দাবি মেনে নিয়েছেন। তা হল, ফসলের গোড়া পোড়ানোর অভিযোগে যে সব কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল, সেগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। যদিও, গত এক বছরে আন্দোলন চলাকালীন বহু কৃষকের বিরুদ্ধে বহু মামলা রুজু করেছে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। কৃষকদের দাবি, সেই মামলাগুলি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রুজু করা হয়েছে। তাই ফিরিয়ে নিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের এক্তিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নেই। গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেবে রাজ্যগুলিই। তোমর জানিয়েছএন, সোমবারই লোকসভায় আসছে ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। যেহেতু আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে, কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান, এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হয়েছিল তিনটি কৃষি আইন। নতুন আইনগুলিতে উল্লেখ রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী, মান্ডির বাইরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের সরাসরি চুক্তিতে ছাড়পত্র এবং কৃষিতে চুক্তিচাষ শুরু করার বিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলি।