তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার বিল সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই পাস করানো হয়েছে (Farm Laws Repeal Bill | MSP)। তা নিয়ে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকার বিল নিয়ে আলোচনা না করেই পাস করিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছেন পাঁচ বছর আগে ২৬৭ ধারায় আনা নোটিস কার্যকর করা হয়েছিল। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস করলেও নূন্যতম ফসলের দাম আইনি করা, মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের আরও দাবি স্বামিনাথান কমিশনের সুপারিশ মেনে নূন্যতম ফসলের দাম নিশ্চিত করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রথমে ধর্নায় তৃণমূলের সাংসদরা, পরে যোগ দিল অন্য বিরোধী দলও
স্বামিনাথান কমিশনের সুপারিশ কী? ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর, দেশজুড়ে কৃষকদের লাগাতার আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে এবং তাতে রাশ টানতে অধ্যাপক এবং "সবুজ বিপ্লবের জনক" অধ্যাপক এমএস স্বামীনাথনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ন্যাশনাল কমিশন অন ফার্মার নামে একটি সর্বভারতীয় কমিটি। সেই কমিটি চাষিদের আর্থিক হাল ফেরাতে নূন্যতম সহায়ক মূল্যের ওপর জোর দেয়। ২০০৪ এর ডিসেম্বরে প্রথম রিপোর্ট দেয় স্বামীনাথন কমিটি। তারপর ২০০৫ এর অগস্ট, ২০০৫ এর ডিসেম্বর, এপ্রিল ২০০৬ চারটি রিপোর্ট জমা দেয় স্বামীনাথন কমিটি। ২০০৬ এর ৪ অক্টোবর স্বামীনাথন কমিটির চূড়ান্ত এবং পঞ্চম রিপোর্ট জমা পড়ে।কমিটির সুপারিশে জানানো হয়, নূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হবে, সি টু তারসঙ্গে ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ কোনও ফসল ফলাতে যদি ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে চাষি যেন সেই ফসল ১০০ টাকা খরচ এবং তার সঙ্গে ৫০ টাকা অতিরিক্ত যোগ করে অর্থাৎ ১৫০ টাকায় ফসল বিক্রি করতে পারেন। কোনও একটি ফসল উৎপাদনে যে খরচ হয়, তারমধ্যে শ্রমিক, কীটনাশক, সেচ থেকে শুরু করে পরিবহন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জমির ক্ষয়, কারণ প্রতিবছর চাষের সঙ্গে সঙ্গে জমির ১ থেকে ২ শতাংশ ক্ষয় হয়। সব মিলিয়েই এই ফর্মূলা তৈরি করে স্বামীনাথন কমিটি।
আরও পড়ুন: উত্তাল সংসদ, রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল-সহ ওয়াক আউট বিরোধীদের
হরিয়ানা কৃষক বিক্ষোভের অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কার্নাল এর ঘটনার পর কৃষকদের ক্ষোভ আরও বাড়ে। গত আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কার্নালের মহকুমা শাসকের তরফে পুলিশকে দেওয়া নির্দেশের ভিডিও। সেখানে মহকুমা শাসককে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে, যেন লাঠি চালিয়ে কৃষকদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি সামনে আসতেই ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে মনোহর লাল খাট্টার সরকার। হরিয়ানার ডবল ইঞ্জিনের সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সরব বিরোধী নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্ত্ব।