এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মী আদিত্য জানিয়েছেন, যে বিরাজ দ্বিবেদী ক্যাশিয়ার ছিলেন৷ তিনি গুরুগ্রামের ৩১ নম্বর সেক্টরে থাকতেন৷ পুণ্যশ্রে শর্মা ছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের সভাপতি। আদিত্য বলছিলেন, শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ দ্বিবেদী এবং পুণ্যশ্রে শর্মা XUV-700 গাড়িতে ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে, পুণ্যশ্রে শর্মার বাড়িতেই থাকতে হয়েছিল বিরাজকে। পরিকল্পনা ছিল এখানে রাতটুকু কাটিয়ে সকালেই দিল্লীর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কিন্তু রাতে পুরোনো ফরিদাবাদ রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের কাছে আসতেই অঘটন৷ জায়গাটি জলে ভরে ছিল৷ ছিল না ব্যারিকেডের ব্যবস্থাও৷
advertisement
আরও পড়ুন : ১৮০০ গ্রাম বিষ বিক্রি করে আয় ২ কোটির বেশি, এরপরও অস্তিত্বের সংকটে ইরুলা
বিরাজ গুরগাঁওয়ে থাকতেন, এবং তিনি বুঝতে পারেননি যে ওল্ড ফরিদাবাদ রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের নীচে এতটা জল রয়েছে যে তাঁর গাড়িটি ডুবে যাবে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই জনই এরপর মরিয়া হয় গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু গাড়ির দরজা লক হয়ে গিয়ে সেটি ডুবে যায়৷ ফলে মৃত্যু হল বিরাজ এবং তাঁর ম্যানেজারের৷
আদিত্য বলছিলেন, দীর্ঘক্ষণ কোন খবর না পাওয়ায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের স্ত্রী টেনশন করছিলেন৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ফোন করেন৷ আদিত্যকে তিনি জানান, বারবার ফোন করলেও দুই জনের কারওরই ফোন লাগছে না৷ আদিত্য নিজে এরপর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং বিরাজকে ফোন করেন৷ লাভ হয়নি৷ এমন অবস্থায় তাঁরা দুজনেই ফরিদাবাদে পৌঁছে পুলিশকে ঘটনার কথা বলেন৷ সেখানে তারা দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারেন৷ আদিত্য বলছিলেন, জায়গাটিতে পুলিশ যদি আগে থেকে ব্যারিকেড দিত তাহলে হয়তো প্রাণ বাঁচানো যেত দুজনের।
আরও পড়ুন : ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি মুছে ফেলে, ইয়ার্ড আধুনিকীকরণের জোর রাঙাপানি জুড়ে
সাব ইন্সপেক্টর রাজেশ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে ১১টার দিকে। রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড ও সতর্কতা বোর্ড লাগানো হয়েছে। পুলিশও সাধারণ মানুষকে এই পথ দিয়ে যেতে নিষেধ করেছে৷ বর্তমানে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য বাদশা খান সিভিল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।