বন্যায় রাজ্যের ৩২টি জেলায় অন্তত ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪,০০০ এরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পাঁচটি বড় নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। অসমের জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূশ হাজারিকা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রশাসন মানুষকে সাহায্য করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- "যুবদের বেকারত্বের অগ্নিপথে হাঁটতে বাধ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী": আক্রমণ রাহুলের
শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিপর্যয় কবলিত এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অসমে চলতি সপ্তাহে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাস থেকে মোট ৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেশী মেঘালয়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভূমিধসের কারণে দু’টি প্রধান জাতীয় মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির সোহরা অঞ্চলে শুক্রবার তৃতীয়বার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোহরার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম (RKM) ১৯৯৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়েছে।
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছতে বিরোধীদের বৈঠকে যাবেন অভিষেক
এই সপ্তাহে রাজ্যে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেছেন। শুক্রবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরায় ১০,০০০-এরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, তবে কোনও হতাহতের খবর নেই।
ভূমিধসের কারণে রাজ্যের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠানোর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে। সিকিমেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।