সুস্মিতার (Sushmita Dev) অভিযোগ, ''বিজেপি সমস্ত বুথ দখল করে নেবে। বুথে কোনও ভিভিপ্যাট নেই। মানুষ ভয় পাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও উগ্যোগ নিচ্ছে না। ভয় পেলে মানুষ ভোট দিতে যাবে কীভাবে?'' যদিও আশা ছাড়ছেন না সুস্মিতারা। তাঁর দাবি, ''সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূল জিতবেই।''
কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর কি শান্তিপূর্ণ ভোট হতে পারে? সুস্মিতার জবাব, ''পুলিশ তো দলদাস এখানে। পুলিশের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও আমাদের প্রার্থীদের খুন করার চেষ্টা হয়েছে। ভোটাররাও সুরক্ষিত নন। তাঁরা আশঙ্কায় রয়েছেন। আদালত নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতি তো রাজ্য প্রশাসনকে দেখতে হয়। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের কথাতেই স্পষ্ট ত্রিপুরার পরিস্থিতি।''
advertisement
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই বঙ্গ BJP-তে বিরাট রদবদল, রাজ্য কমিটিতে থাকছে বড় চমক!
অসমের কন্যা বর্তমানে ত্রিপুরা বিজয়কেই মূল লক্ষ্য করেছেন। সুস্মিতার অভিযোগ, ''আমরা আশা করছি মানুষ ভোট দিতে পারবে। ভোট দিতে পারলে তৃণমূলই জিতবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও ভিভিপ্যাট ও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তাই বুথ দখল হলেও প্রকাশ্যে কিছু আসবে না।''
ইতিমধ্যেই সুস্মিতাদের বহিরাগত বলতে শুরু করেছে বিজেপি। অশান্তির জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করছে তাঁরা। সেই প্রেক্ষিতে সুস্মিতার জবাব, ''একটা জায়গা দেখান, যেখানে বিজেপি-র একটা ফ্ল্যাগ পর্যন্ত ছেড়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে দেখুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙা হয়েছে। অথচ ত্রিপুরা সরকারের গাড়ি আমাদের পতাকা ছিড়ে দিচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছন, ত্রিপুরা নিয়ে চুপ কেন?''যদিও সুস্মিতা জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, ''মানুষ ভোট দিলে আমরা জিতছিই।''
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের কাছে 'ভিক্ষা', সুকান্ত মজুমদারের 'স্বাগত'! সব নজর দিল্লিতে
তবে, ত্রিপুরা পুরভোটের উত্তাপ আন্দাজ করেই পুরভোটের সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করল নির্বাচন কমিশন। ত্রিপুরার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মোট ৬৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭০টিকেই অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ২৭৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিপুরার অতি স্পর্শকাতর বুথগুলির প্রতিটিতে থাকবেন ত্রিপুরা সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ জন করে জওয়ান। স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলিতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলের চারজন করে জওয়ান থাকবেন। এর মধ্যে আগরতলা পুরসভায় বুথগুলির জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোনও পোলিং স্টেশনের মধ্যে থাকা একাধিক বুথের জন্য আলাদা করে TSR মোতায়েন থাকবে ।