বৈঠকের সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্রগুলি নিশ্চিত করেছে যে বোর্ড একটি বড় নিরাপত্তা সংস্কার শুরু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান সংস্থার অধীনে থাকা সমস্ত বিমানের একটি বিস্তৃত নিরীক্ষা।
সবাই জানেন যে ১০ জুন, ২০২৫ তারিখে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। যদিও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি, তবে এই ঘটনাটি নিরাপত্তা বিধি মেনে চলার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। অন্য দিকে, ১২ জুন, ২০২৫ তারিখে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানটি আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি প্রথমে বিজে মেডিকেল কলেজ সিভিল হাসপাতালের মেসবাড়িতে আঘাত হানে এবং তার পরে অতুল্যম হোস্টেলে ভেঙে পড়ে, যেখানে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররা থাকতেন। উভয় বাড়িতেই ব্যাপক ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘যার কাজ করার কথা সে করছে না..’, বন্যা পরিস্থিতে নিয়ে ডিভিসে-কে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এবার থেকে তাই আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফ্লিট অডিট পরিচালিত হবে এবং প্রতিটি বিমানের প্রযুক্তিগত দিক এবং পরিচালনাগত প্রস্তুতি উভয়ই মূল্যায়ন করা হবে।
নিউজ18-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর (ডিজিসিএ) এয়ার ইন্ডিয়াকে তার বিমানগুলোর সম্পূর্ণ অবস্থার উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্র ইঙ্গিত দেয় যে বিমান সংস্থাটি এই প্রতিবেদনটি তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শীঘ্রই এটি জমা দেওয়া হবে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বোর্ড এয়ার ইন্ডিয়ার কার্যক্রমের সকল দিক পর্যবেক্ষণের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে ফ্লাইট রুট, ফ্রিকোয়েন্সি এবং অন্যান্য ব্যবসা-সম্পর্কিত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। এয়ার ইন্ডিয়ার একজন উর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছেন, “এটি কেবল একটি লোকদেখানো পদক্ষেপ নয়। পরিচালনা দক্ষতা এবং যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিটির প্রকৃত কর্তৃত্ব রয়েছে”।
আহমেদাবাদের ঘটনায় বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) কর্তৃক চলমান তদন্তে সহায়তা করার জন্য বোর্ড একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের অনুমোদনও দিয়েছে। এই দলটি AAIB-কে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করবে, তদন্তের সময় নথি, প্রযুক্তিগত তথ্য এবং কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ নিশ্চিত করবে।
এয়ার ইন্ডিয়া ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনটি রুট স্থগিত করেছে এবং আরও ১৯টি রুটে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়েছে। এই হ্রাসের লক্ষ্য এয়ার ইন্ডিয়ার নেটওয়ার্ক-ব্যাপী কর্মক্ষম স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং যাত্রীদের শেষ মুহূর্তের অসুবিধা কমানো।
এই সাময়িক হ্রাস সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া ১২০টি অভ্যন্তরীণ এবং স্বল্প দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে তার ন্যারোবডি বিমানের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৬০০টি ফ্লাইট পরিচালনা চালিয়ে যাবে। জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার, আহমেদাবাদের ঘটনার জবাবদিহি এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা মানদণ্ড বাড়ানোর লক্ষ্যে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন জাতীয় বিমান সংস্থাটি পিছ-পা হবে না।