সবমিলিয়ে হিমাচলে ভোটার সংখ্যা ৫৫ লক্ষ৷ পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের রেওয়াজ রুখতে বিজেপি প্রচারে 'ডবল ইঞ্জিন' সরকারের উন্নয়নের তত্ত্বকেই হাতিয়ার করেছিল৷ প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখকেও৷ বিজেপি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সরকারে তাদের টিকিয়ে রাখা জরুরি৷ সরকার বদলে গেলে যা সম্ভব হবে না৷
advertisement
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের মানুষের এই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাই কংগ্রেসের সবথেকে বড় ভরসা৷ এই ধারা বজায় রাখার জন্যই প্রচারে জোর দিয়েছেন দলের নেতারা৷ হিমাচলে দলের প্রবীন নেতা বীরভদ্র সিং-এর মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছিল কংগ্রেস৷ যদিও এবার দলের টিকিট বণ্টন অতীতের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের৷ এই মুহূর্তে বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন৷ অন্যদিকে বীরভদ্রের ছেলে বিক্রমাদিত্যকেও প্রার্থী করেছে দল৷
তবে হিমাচলে বিজেপি-র আরও একটা মাথাব্যথার কারণ দলের বিদ্রোহীরা৷ টিকিট না পেয়ে অন্তত ২১টি আসনে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়ছেন বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ নেতারা৷ ৬৮ আসনের বিধানসভায় এই নির্দলরাই শেষ পর্যন্ত বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই৷ এক বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকে বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে৷
আরও পড়ুন: তিহার সংশোধনাগারই সায়গলের আগামীর ঠিকানা! ইঙ্গিত আদালতের রায়ে
হিমাচল প্রদেশ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নিজের রাজ্য৷ এই নির্বাচন তাই বিজেপি সভাপতির কাছেও প্রেস্টিজ ফাইট৷ কারণ বিক্ষুব্ধদের অনেকেই টিকিট না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ তুলেছেন৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং ধুমালও কার্যত রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়ে ফেলেছেন৷ তাঁকেও এবার টিকিট দেয়নি দল৷ যদিও দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি ধুমাল৷ কিন্তু ধুমাল সহ একাধিক নেতার টিকিট না পাওয়ার বিষয়টি প্রচার পর্বে বিজেপি-র কাছে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷
শেষ দু' বছরে একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রাপ্তি বলতে শুধুমাত্র হার এবং বিপর্যয়৷ গুজরাত নির্বাচন নিয়েও দলের প্রচারে সেভাবে তৎপরতা চোখে পড়ছে না৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে পারে হিমাচলের জয়৷ তার জন্য দলের নেতাদের ক্যারিশমার থেকেও হিমাচল প্রদেশের মানুষের প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকতাই বেশি ভরসা কংগ্রেস নেতাদের৷