এদিন শিবসেনার বিদ্রোহী (Eknath Shinde) বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পরে একনাথ শিন্ডে জানান, "আমরা এখানে সবাই এক আছি। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। ওরা (উদ্বব ঠাকরে) যে দাবি করছে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ যোগাযোগ রাখছে। তাহলে ওরা তাদের নাম বলুক।" সাংবাদিকদের একনাথ শিন্ডে বলেন, "আমার সব বিধায়করা আছেন আমার সঙ্গে। আমি তাই এলাম আপনাদের সামনে। আমরা হলাম আসল শিবসেনার সৈনিক। উদ্ধব ঠাকরে শিবির যা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।"
advertisement
আরও পড়ুন : কফি খেয়ে শপিং যাচ্ছেন না কি? সাবধান! ফতুর হয়ে যাবেন মুহূর্তে, আসল কারণ জানলে চমকে যাবেন
শিন্ডের প্রতিটি কথায় এদিন সরাসরি আক্রমণ ছিল উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে। তিনি কার্যত 'মিথ্যাবাদী' আখ্যা দেন উদ্ধব শিবিরকে৷ আগামী দিনে বিদ্রোহী বিধায়কদের তরফ থেকে দীপক কাসকর কথা বলবেন বলেও জানিয়ে দেন শিন্ডে। সূত্রের খবর শীঘ্রই মুম্বই যাচ্ছেন একনাথ শিন্ডে সহ বিধায়কদের বেশ কয়েকজন।
সূত্রের খবর, এদিন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেন আরও কয়েকজন বিধায়ক। মঙ্গলবার বিকেলেই সুরাত থেকে গুয়াহাটি আসার কথা একটি চার্টাড বিমানের। তাতেই আসতে পারেন বিদ্রোহীরা।
আরও পড়ুন : অ্যামাজন, গুগল না ফেসবুক- শেষ পর্যন্ত কোন চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন বীরভূমের বিশাখ?
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে গত কয়েকদিন ধরে চলছে রাজনৈতিক মহানাটক। শিবসেনার ঘরোয়া বিদ্রোহ চরমে পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই। যার জেরে টলোমলো মহারাষ্ট্র সরকার। পর পর দু-দু’বার পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে তাঁর জোটসঙ্গী নেতারা তাঁকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখেন বলে সূত্রের দাবি। সূত্রের খবর এই সংকটের সময়ে একাধিকবার উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শরদ পাওয়ার। বর্ষীয়ান এই নেতাই মহাবিকাশ অঘাড়ি জোটের মূল ঘটকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার শিবসেনার ২১ বিধায়ক সুরাটে যাওয়ার পরই পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন উদ্ধব। সেদিন বিকেল পাঁচটার সময় ফেসবুক লাইভ করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর কথা ছিল উদ্ধব ঠাকরের। এরপর দিন উদ্ধব ফের একবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিদায় জানানোর জন্য সরকারি একটি বৈঠকও ডেকেছিলেন। যদিও সূত্রের খবর প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারই উদ্ধবকে পদে থাকতে রাজি করান। এদিকে পরপর আবেগের ‘কার্ড’ খেললেও উদ্ধবের কথায় মন গলেনি একনাথদের। বরং উদ্ধবের গোষ্ঠী ক্রমেই আরও ছোট হচ্ছে। এদিকে শক্তি বাড়ছে একনাথদের। যদিও উদ্ধব শিবিরের দাবি শিন্ডে-পন্থীদের মধ্যে অনেকেই যোগাযোগে আছে তাঁদের সঙ্গে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে দেশের পশ্চিম প্রান্তের এই রাজ্যে।