The Indian Express-এর একটি সাক্ষাৎকারে যশলোক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট সেন্টারের (Jaslok Hospital and Research Centre) ডায়েটিশিয়ান জ্যোতি ভাট জানাচ্ছেন যে, আমাদের মনের বিভিন্ন রকম অবস্থা রয়েছে। যেমন- রাগ, আনন্দ, উত্তেজনা, দুঃখ প্রভৃতি। আর এই সবগুলো অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে খাবার। তিনি আরও জানান যে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এমন কিছু কিছু খাবার আছে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের সঙ্গে যেগুলোর সংযোগ রয়েছে। তাই জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার নিমেষে মন ভালো করে দিতে পারে।
advertisement
গবেষণায় উল্লিখিত সেই সব খাবারের তালিকা:
ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো ট্রিপটোফ্যান-এ ভরপুর। আমাদের মস্তিষ্ককে (Brain) সেরোটোনিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে এই ট্রিপটোফ্যান। প্রসঙ্গত, মন স্থির রাখার জন্য দায়ী মূল যে হরমোন, সেটিই সেরোটোনিন।
গ্রিন টি:
মূলত, ওজন কমাতে গ্রিন টি পান করেন অনেকে। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, এই চা মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে গ্রিন টি। এর মধ্যে ক্যাফিনের উপস্থিতি মনকে চনমনে রাখে এবং স্মৃতিশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।
বেলপেপার:
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বেলপেপারের অবদান অনস্বীকার্য। কারণ মন চাঙ্গা রাখার জন্য যে সব হরমোন দায়ী, সেই সব হরমোন উৎপাদন করতে সাহায্য করে বেলপেপার।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার:
বাদাম, ফ্লাক্স সিড, স্যামন মাছ, চিয়া সিড - ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম। আর এই ধরনের খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
ফার্মেন্টেড খাবার:
এই তালিকায় পড়ে বাটারমিল্ক, দই প্রভৃতি। এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা মন চাঙ্গা করে তোলার অন্যতম উপকরণ।
বাদাম:
বাদাম অথবা বাদাম জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। যা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শাক-পাতা:
শাক-পাতার মধ্যে অন্যতম পালং শাক এবং মেথি শাক। এই সব শাকে রয়েছে ভিটামিন-বি ফোলেট। আর এই ভিটামিনের ঘাটতিই ডোপামিন, সেরোটোনিন এবং নোরাড্রেনালিনের মেটাবলিজমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ক্যাফিন:
মুড ভাল করার জন্য ক্যাফিন দারুণ উপাদান। এটি ডোপামিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। তবে যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা হালকা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় যেমন- ব্ল্যাক টি অথবা গ্রিন টি পান করতে পারেন।