এমন কী, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে ওএমআর শিটেই সাঙ্কেতিক কোড থাকত! যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হত, সেই প্রার্থীদের ওএমআর শিটে নির্দিষ্ট দু'টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাকি ওএমআর শিট ফাঁকা রাখতে বলা হত৷ যাতে রোল নম্বর দেখেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যায়৷
আরও পড়ুন: তাপস মণ্ডলের সঙ্গে সরাসরি যোগ বিজেপির! বিস্ফোরক অভিযোগ কুন্তল ঘোষের
advertisement
গতকাল মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেছিলেন৷ এ দিন অবশ্য ইডি-র পক্ষ থেকে মানিক এবং কুন্তলের বিরুদ্ধে পাল্টা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে৷
কী নির্দেশ দেওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের?
ইডি-র আইনজীবী দাবি করেছেন, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরির জন্য যোগাযোগ করতেন, তাঁদের ওএমআর শিটের নির্দিষ্ট দু'টি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হত৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ওএমআর শিটে ৫০টি প্রশ্ন থাকলে ওই চাকরিপ্রার্থীদের শুধুমাত্র ৬ এবং ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হত৷ বাকি প্রশ্নপত্র ফাঁকা রাখতে বলা হত৷
ইডি-র দাবি, কুন্তল জানিয়েছেন এভাবেই নিজেদের সুপারিশের চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট চিহ্নিত করা হত৷ পরে ওএমআর শিটের ফাঁকা প্রশ্নের উত্তরগুলি লিখে দেওয়া হত৷ ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট-এ দুর্নীতির এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল বলে এ দিন ইডি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন: ১৯ কোটির রহস্যের পিছনে কে? প্রাথমিকে চাকরি পেতে কারা দিয়েছিল টাকা? জানতে তাপসকে ফের তলব সিবিআইয়ের
গোটা বিষয়টি মানিকও জানতেন বলে ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷ একই ভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও একযোগে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন ইডি-র আইনজীবী৷
সওয়াল করতে গিয়ে এ দিন ফিরোজ এডুলজি বলেন, মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন মানিক এবং কুন্তল৷ যা মানুষ খুনেরই সামিল৷ ইডি-র আইনজীবী আরও বলেন, এক সময় পড়াশোনার জন্য গোটা দেশ থেকে পড়ুয়ারা বাংলায় আসতেন৷ এখন ছবিটা উল্টে গিয়েছে৷
পাল্টা মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, তদন্ত কবে শেষ হবে তা ইডি-ও জানে না৷ ফলে যে কোনও মূল্যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক৷ যদিও দু' পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক৷