নতুন বছরের তিন মাস কাটতে চলল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজারে (Stock Market) আইপিও চালু করেছে মাত্র ৩টি সংস্থা। উঠেছে ৭,৪২৯ কোটি টাকা। এই তিনটি সংস্থা হল, আদানি উইলমার, এজিএস ট্রানজ্যাক্ট টেকনোলজিস এবং বেদান্ত ফ্যাশনস। বাজারে অস্থিরতার কারণে আপাতত অনেক কোম্পানিই আইপিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে।
উমা এক্সপোর্টস: ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত উমা এক্সপোর্টসের আইপিও-র সাবস্ক্রিপশন করা যাবে। আপাতত এর প্রাইস ব্র্যান্ড (Earn Money) নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। আগামী ৭ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার তালিকাভুক্ত হবে। উমা এক্সপোর্টস এই ইস্যু থেকে ৬০ কোটি টাকা তুলতে চায়। এর মধ্যে ৫০ কোটি টাকা কোম্পানি নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করবে।
advertisement
আরও পড়ুন - Insurace Tips: স্বাস্থ্য বিমায় কী কী মাতৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়া যাবে, জেনে ফায়দা ওঠান
উমা এক্সসপোর্টসের মূলত মশলার ব্যবসা। মরিচ, হলুদ, জিরা, ধনে ছাড়াও চাল, গম, ভুট্টা, চা এবং চিনির ব্যবসা, বিপণন এবং আমদানি রফতানি করে তারা। কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, মায়ানমার থেকে আসে ডাল, কালো উরুদ ডাল ও তুর ডাল। সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে চিনি ও বাংলাদেশে ভুট্টা রফতানি করে উমা এক্সসপোর্টস।
গত অর্থবর্ষে উমা এক্সপোর্টসের মোট ছিল ৭৫২.০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২.১৮ কোটি টাকা লাভ হয়েছে তাদের। তার আগের বছর উমা এক্সপোর্টসের মোট লাভ হয়েছিল ৮.৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা লাভ বেড়েছে। কোম্পানির পরিচালন মুনাফাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালের আর্থিক বছরে ২১.২৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে যা তার আগের বছরে ১৯.৭৫ কোটি টাকা ছিল।
আরও পড়ুন - Viral News: চাই অনেক টাকা, বউকে না জানিয়ে ‘Sperm’ বিক্রির কাজে স্বামী
ভিরান্ডা লার্নিং সলিউশনস: মূলত চাকরির পরীক্ষার জন্য কোচিং দেয় ভিরান্ডা লার্নিং সলিউশনস। অনলাইন এবং অফলাইনে ইউপিএসসি, সিএ, ব্যাঙ্কিং এবং অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের তৈরি করাই এদের কাজ। চারটি সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে শীক্ষার্থী, পেশাদার এবং কর্পোরেট কর্মচারীদের পরিষেবা প্রদান করে ভিরান্ডা লার্নিং সলিউশনস। আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই কোম্পানির আইপিও-র সাবস্ক্রিপশন করা যাবে।
আইপিও-র (IPO) মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা তুলতে চায় ভিরান্ডা লার্নিং সলিউশনস। শেয়ার প্রতি ১৩০ থেকে ১৩৭ টাকায় আইপিও-র প্রাইস ব্যান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। আইপিও-র ৭৫ শতাংশ কিউআইবি, ১৫ শতাংশ অ-প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ১০ শতাংশ খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৫ এপ্রিল শেয়ার বরাদ্দ এবং ৭ এপ্রিল লিস্টিং হওয়ার কথা রয়েছে।