তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে ত্রিপুরা পুলিশ ও অন্যান্য এজেন্সিগুলি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। ছাত্রছাত্রীরাই দেশের ভবিষ্যত। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে হবে। সচেতনতা হচ্ছে মূল বিষয় এবং এই জাতীয় প্রতিযোগিতা মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে ও তাদের অংশ নিতে উৎসাহিত করে।
advertisement
আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা দেশের সম্পদ এবং তাদের ভোক্তা ও সড়ক সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করা রাজ্য সরকারের পক্ষে সহায়ক হবে। আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় স্তরে সুনাম করছে। ত্রিপুরার বিলোনিয়ার এক ছাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পরীক্ষা পে চর্চায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সমস্ত কিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে এবং আমি তার জন্য সত্যিই গর্বিত। সে আমাদের সকলের প্রতিনিধিত্ব করেছে। ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাল করছে। প্রত্যেককে অবশ্যই মাদক সরবরাহের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করতে হবে এবং রিপোর্ট করতে হবে। সমাজ যদি ভাল থাকে, তবে ছাত্রছাত্রীরা আরও ভাল কিছু করতে পারবে। রাজ্যে ৩০ বছর আগে স্কুল ও কলেজগুলির অবস্থা করুণ ছিল। পরীক্ষার সময় বোমা ছোড়া হত। তবে পরিস্থিতি এখন পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এখন একটি নতুন হুমকি হিসেবে উদয় হয়েছে – সেটা ড্রাগস বা মাদক। তাই প্রত্যেককে অবশ্যই এই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ সাহা ভোক্তাদের অধিকার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কেও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মানুষ হেলমেট সঠিকভাবে পরিধান করেন না। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনায় জখম হচ্ছে। তরুণরা বাইক চালাচ্ছে, কিন্তু সঠিকভাবে হেলমেট পড়ছে না এবং অনেকে সুরক্ষা নীতিকে অবহেলা করছে। যদিও দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় আমাদের রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। তারপরেও আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে অবশ্যই ওভারস্পিডিং, নেশার ঘোরে গাড়ি চালানো ও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীদের কথা চিন্তা করে আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রমা সেন্টারও স্থাপন করেছি।’