ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা ও কষ্টের শিকার হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী, দুই ছেলে, মা ও ভাই। ২০০৯ সালে, রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে দ্রৌপদী মুর্মুর এক ছেলের। ওই বছরের এক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী লক্ষ্মণ মুর্মুকে (২৫) তাঁর বিছানায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দ্রৌপদীর স্বামী শ্যাম চরাম মুর্মু ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
advertisement
আরও পড়ুন- দ্রৌপদী মুর্মু না যশবন্ত সিনহা? দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি কে, শুরু ভোট গণনা
২০১২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় নিজের দ্বিতীয় পুত্রকেও হারিয়েছেন মা দ্রৌপদী মুর্মু। দ্রৌপদী মুর্মুর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করেন। গণেশ হেমব্রমকে বিয়ে করেছেন ইতিশ্রী। দ্রৌপদী মুর্মুর জামাই একজন রাগবি খেলোয়াড়।
নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করার আগে দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার রায়রংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের আগে দ্রৌপদী মুর্মুর মাসি জানান, দ্রৌপদী সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। “আমাদের সময়ে, মেয়েদের সবসময় বলা হত তুমি পড়াশোনা করে কী করবে। লোকেজন ওকে জিজ্ঞাসা করত ও কীই বা কাজ করতে পারবে। এখন দ্রৌপদী তাদের কাছে প্রমাণ করেছে যে ও কী করতে পারে,” ANIকে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ট্রেনের খাবারে 'সার্ভিস চার্জ' নেবে না রেল, বদলে চা কফি ছাড়া বাড়ানো হল সবের দাম!
“দ্রৌপদী মুর্মু প্রমাণ করেছেন যে মহিলারা যে কোনও কিছু করতে পারেন। সবসময়ই খুব পড়াশোনা করা মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনে করি, প্রত্যেকেরই বোঝা উচিত যে মহিলারা কোন অংশে কম নন এবং তাঁরা কিছু অর্জন করতে পারেন,” বলেন সরস্বতী মুর্মু, যিনি সম্পর্কে দ্রৌপদীর মাসি হলেও, বয়সে তাঁর থেকে ছোট।