TRENDING:

Corona Third Wave: তৃতীয় ঢেউ সামলাতে কী করতে হবে? পথ দেখাচ্ছেন কর্নাটকের চিকিৎসকরা

Last Updated:

Dr Devi Shetty: প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেট্টি-র নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বেঙ্গালুরু: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর চোখ রাঙানি দেখেছে ভারত। এখনও পুরোপুরি আয়ত্বে আসেনি সংক্রমণ। গবেষণায় ধরা পড়েছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যেরিয়েন্ট-এর অস্তিত্ব। এর ওপরে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। গবেষণা বলছে, এই ঢেউ ভয়ঙ্কর হতে পারে শিশুদের জন্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আগেভাগে তৈরি হচ্ছে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর গুলিকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটু এগিয়ে রয়েছে কর্ণাটক (Karnataka)। এই রাজ্যের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেট্টি-র (Dr Devi Shetty) নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল, শিশুদের উপর করোনার তৃতীয় ঢেউ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা বিবেচনা করা এবং সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য একটি রুট ম্যাপ তৈরি করা। এই সংক্রান্ত একটি তথ্যে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে (B S Yedyurappa, Chief Minister) জমা দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করেছে। আরও জানা গিয়েছে এই রুট ম্যাপ অন্য রাজ্যগুলিও অনুসরণ করতে পারবে। ডাঃ শেট্টির আরও একটি পরিচয় রয়েছে, সারা দেশে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য যে ১২ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট, শেট্টি সেই ১২ সদস্যের একজন।
advertisement

বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমান রাজ্যের প্রায় ৩.৪ লক্ষ শিশু তৃতীয় ঢেউ-এ আক্রান্ত হতে পারে। এই বিষয়ে ৯১ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্টে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্য সরকার সংক্রমণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিশুদের জন্য আলাদা আইসিইউ (ICU), পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডের বেড (pediatric ward bed), পিআইসিইউ বেড (PICU bed) বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য রাজ্য জুড়ে মোট ২৭,০০০ বেডের দরকার পড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীর অভাব রয়েছে, তাই চিকিৎসক (doctor), নার্স (nurse)এবং প্যারামেডিক ( paramedic staff) কর্মীদের নিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে খুব স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে শহর ও গ্রামের বিষয়ে, যেখানে অতি দ্রুত ২৫০ বেড ও কমপক্ষে ২০ টি পিআইইসি/এনআইসিইউ (PICU/NICU) সামর্থ নিয়ে শিশু হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

advertisement

বিশেষজ্ঞ কমিটি খুব গুরুত্ব সহকারে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর (oxygen concentrator) ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যে তৈরী রাখতে বলা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ পর্যালচনার জন্য ৩০০০ চিকিৎসকরের প্রয়োজন পড়তে পারে বলে মনে করা হয়েছে। রাজ্যে ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও বলেছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এছাড়াও সুপারিশ করা হয়েছে স্কুলে যাওয়া প্রতিটি শিশুকে ২ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা দেওয়া হোক। কলেজগুলির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, আগে প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কর্মী ও পড়ুয়াদের টিকা নিতে হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কলেজ খোলা যেতে পারে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

করোনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল করোনা টেস্ট। বিশেষজ্ঞ প্যানেল খুব স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে বলেছে, শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ বা নাক দিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ করাটা চাপের হতে পারে। তাই শিশুদের জন্য গারগেল আরটি-পিসিআর (gargle RT-PCR) অথবা স্যালাইভারি আরটি-পিসিআর (Salivary RT-PCR) ও ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Test) সুপারিশ করা হয়েছে। এই পরীক্ষার পদ্ধতিগুলি আইসিএমআর দ্বারা অনুমোদিত। ফলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কর্নাটকের শিশুরা রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৩৪%। তাই সরকারের তরফে সুচিকিৎসা মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের প্রথম দিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ হানা দিতে পারে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Corona Third Wave: তৃতীয় ঢেউ সামলাতে কী করতে হবে? পথ দেখাচ্ছেন কর্নাটকের চিকিৎসকরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল