প্রথমে ছিল পাঁচ ডিজিট। সেখান থেকে ছ ডিজিট। গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকলো। জটিলতাও বাড়লো। এরপর সাত এবং কিছুদিনের মধ্যেই আট ডিজিট। ততদিনে ফোনের দুনিয়ায় আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে। ফোন তখন আর গৃহস্থের শোভা নয়। মুঠোয় ভরা। ফোন নম্বর হয়ে গেল দশ ডিজিটের। মোবাইল জমানা পার হয়ে এখন স্মার্টফোনের যুগ। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে ফাঁকফোকর বেড়েছে বিস্তর। নিরাপত্তার স্বার্থে তাই এবার ফোন নম্বর হবে তেরো ডিজিটের। টেলিকম সংস্থার মতে তেরো ডিজিটের নম্বর হয়ে গেলে গ্রাহক আরও সুরক্ষিত থাকবেন। সংস্থার নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী,
advertisement
১ জুলাই, ২০১৮ থেকে যাঁরা নতুন সিম নেবেন, তাঁরা তের ডিজিটের নম্বর পাবেন
যাঁদের এখন দশ ডিজিটের নম্বর, ১ অক্টোবর, ২০১৮ থেকে তাঁদের নম্বর তেরো ডিজিট করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮-র মধ্যে দেশের সব ফোন নম্বর তেরো ডিজিটের হয়ে যাবে
কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর এই গাইড লাইন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নথি হিসেবে যে ফোন নম্বর দেওয়া আছে, তার কী হবে? সে সব ক্ষেত্রে কি আবার নতুন করে ফর্ম ফিল আপ করতে হবে? আধার লিংক করার ক্ষেত্রেও নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই সব পরিকাঠামো কবে হবে, তা নিয়ে ধন্দ থাকছে। বিভ্রান্তি জটিলতা কী ভাবে কাটবে, টেলিকম সংস্থা তা এখনও জানায়নি।
১৩ ডিজিটের ফোন নম্বর হয়ে গেলে ভারতই হবে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যাদের ফোন নম্বর তেরো ডিজিটের। ঠিক পিছনেই চিন। চিনে এগারো ডিজিটের ফোন নম্বর ব্যবহার হয়। কিন্তু সুরক্ষা আর নিরাপত্তাই শেষ কথা। তাই আনলাকি থার্টিনে বিশ্বাসী হলেও এবার থেকে আপনাকে তেরো অঙ্কের ফোন নম্বরই ব্যবহার করতে হবে।