আরও পড়ুন- ভাঙল রেকর্ড! বিক্ষোভ সত্বেও অগ্নিপথে নিয়োগ চেয়ে জমা পড়ল এত সংখ্যক আবেদন!
সোমবারই আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তারপরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেওয়া ভাষণে বিভিন্ন পক্ষের কথা উল্লেখ করsন তিনি। বললেন, মহারাষ্ট্রে যে ঘটনা একের পর এক ঘটল, তাঁর ‘তার সত্যিকারের শিল্পী’ হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন তাঁর দফতরে বার বার নাক গলাতেন অজিত পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরেরা, যা তিনি একেবারেই পছন্দ করতেন না। বিধানসভায় সোমবার প্রায় ৭৫ মিনিটের একটি ভাষণ দেন শিন্ডে।
advertisement
শিন্ডে বলেন, ‘আমি বালাসাহেব ঠাকরের সৈনিক। আমাকে বিধান পরিষদের বিভিন্ন বৈঠকের তালিকা থেকে বাদ রাখা হত ইচ্ছে করে। তবু আমারা রাজ্যসভার ভোটে একটিও ভোট হারাইনি। এমন কী বিধান পরিষদেও আমি তিনটি অতিরিক্ত ভোট পেয়েছিলাম আমার জনপ্রিয়তার জন্য।’
আরও পড়ুন- যোগ দিয়েছিলেন ইউক্রেন যুদ্ধে, রাশিয়ার আক্রমণে মৃত ব্রাজিলের এই সুন্দরী স্নাইপার!
গত ২০ জুন রাতে শুরু হয়েছিল একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর বিধায়ক সংখ্যা কমিয়ে কমিয়ে এমন পরিস্থিতি হয় যে প্রায় প্রতিদিনই নতুন মুখকে বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিতে দেখা যায়।
বুধবার যখন সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে রাজ্যপালের নির্দেশ অনুসারে উদ্ধব ঠাকরেকে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে, তারপরেই শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন উদ্ধব। তার ঠিক একদিন পরেই বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীসের বদলে একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস বিজেপির চাপের মুখে একনাথ শিন্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ দেন।
শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) পূর্ববর্তী শিবসেনার নেতৃত্বাধীন এমভিএ সরকারের অংশ ছিল। যখন তাঁরা গুয়াহাটির একটি হোটেলে শিন্ডের সঙ্গে শিবির করছিল, তখন শিবসেনা বিদ্রোহীরা দাবি করেছিল যে উদ্ধব ঠাকরে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন এবং অভিযোগ করেছেন যে এনসিপি সেনাকে শেষ করার পরিকল্পনা করছে। তবে বৈঠকের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শিন্ডে৷