আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক সারিতে বসালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, কেজরিওয়ালকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে দিল্লির অবস্থাও ধীরে ধীরে বাংলার মত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মমতার 'সৌজন্য' বোঝাতে ৬ পৃষ্ঠার পুস্তিকা প্রকাশ শুভেন্দুর! কী আছে এই বইতে?
এদিন তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীরা অবসর নেওয়ার পর পেনশন পাচ্ছেন না। বাংলায় পেনশন না মেলায় সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষক। ওই শিক্ষককে বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হলেও পেনশন দেওয়া হয়নি। সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিচ্ছে না বাংলা সরকার।"
advertisement
দিলীপ ঘোষ বলেন, "নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে রাস্তায় নেমে পুলিশের হাতে লাঠি পেটা খাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। বলা হচ্ছে, মহার্ঘ ভাতা দিলে সংকটে পড়ে যাবে রাজ্য সরকার। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বাংলায়। সেখানে সব জায়গায় শুধুমাত্র চুরি হচ্ছে। তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী জেলে, বিধায়ক জেলে, দলের জেলা সভাপতি জেলে বন্দী।" দিলীপ ঘোষের কথায়, প্রতিদিনই তৃণমূলের কেউ না কেউ জেলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বড় খবর! রাজ্যে বাড়ল দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময়সীমা! জানুন বিশদে
দিল্লিতে ভোট প্রচারে বক্তব্যে আগাগোড়া শুধু বাংলা সরকারের নিন্দা করেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, এক সময়ে যে বাংলার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে, আজ সেই বাংলায় শুধু চুরি হচ্ছে। তাঁর কথায়, সারা দেশের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে ছড়িয়ে রয়েছেন বাঙালিরা। এখন সেই বাংলায় প্রতিদিন বোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।" এরপরে দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ। অখিল গিরিকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছে তৃণমূল। বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, "রাষ্ট্রপতি সবার শ্রদ্ধেয়। তাই সংসদীয় দল ক্ষমা চেয়েছে। এই নিয়ে বিরোধী দল অধিবেশন চালাতে দিচ্ছে না। তবে বীরবাহা হাঁসদা আমাদের সদস্য। তিনি একজন মহিলা, তাঁকেও তো অপমান করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে জুতোর নীচে রাখবেন বলেছেন। বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভায় ক্ষমা চাইতে হবে।'
রাজীব চক্রবর্তী